আহত বুথ লেভেল অফিসার। নিজস্ব চিত্র।
উপযুক্ত পরিচয়পত্র সত্ত্বেও রায়গঞ্জ শহরের কলেজ পাড়া এলাকার একটি বুথে কর্তব্যরত বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) অভিজিৎ কুন্ডুকে মারধর করার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৫৬ নম্বর বুথে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘হামলা’য় ওই নির্বাচনী আধিকারিক আহত অবস্থায় এলাকার একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন বলে জানা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে অভিজিৎ বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের পরিচয়পত্র নিয়ে আমি বুথে ঢুকে ভোটারদের স্লিপ দিতে যাচ্ছিলাম। ঢোকার মুখেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা আমাকে আটকায়। আমি আমার পরিচয়পত্র দেখিয়ে বলি বুথের মধ্যে ভোটারদের সাহায্য করা আমাদের ডিউটি। কিন্তু কোনও কথা না শুনে তারা আমার উপর চড়াও হয়। আমাকে মাটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে মারা হয়। মারতে মারতে আমাকে বুথ থেকে প্রায় ১০০ মিটার টেনে নিয়ে যায় তারা। এলাকার বাসিন্দারা এসে আমাকে বাঁচান।’’
অভিজিৎ আরও বলেন, ‘‘বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে তাদের জন্য ফ্যানের ব্যবস্থা করতে বলে। সেটা আমার আওতায় না থাকায় আমি তা পূরণ করতে পারিনি। সেই রাগেই আমাকে তারা আক্রমণ করেছে।’’
এই প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ বিধানসভার সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘‘এই ঘটনা নিন্দনীয়। এর পিছনে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের উস্কানি রয়েছে।’’ যদিও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর কেয়া চৌধুরী তা অস্বীকার করেছেন।
ওই বুথে দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এই প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি না হলেও তাঁরা জানান, এই বুথে কোনও গোলমাল হয়নি।