সুতির অজগরপাড়ায় আটক ৮২ কিলো বিস্ফোরক থেকেই সুতিতে যে তথ্য পুলিশের হাতে আসে তা দেখে মাথায় হাত পড়ে তাদের। পুলিশও ঠিক ভেবে পাচ্ছিল না সুতিতে এত বিস্ফোরক আসছে কোথা থেকে? ঝাড়খণ্ড ও কালিয়াচক যাতায়াতের সমস্ত পথে নজরদারি বাড়িয়েও সুতিতে বারুদ আসার রহস্যটা কোথায়?
অজগরপাড়ায় ধৃত ৩ বিস্ফোরক কারবারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই যা সামনে আসে তা ভাবতেই পারেনি পুলিশ। আর চোরা পথ ধরে নয়, সুতিতে বিস্ফোরক আসছে সহজ, সরল পথেই ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমেই। পরদিন রাতেই পুলিশের একটি দল রওনা দেয় কলকাতায়। জোড়াবাগান থানার সাহায্য নিয়ে ওই ট্রান্সপোর্টের আর এক গুদাম থেকে উদ্ধার হয় ২২ বস্তায় ১১০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ও ৩০ কিলোগ্রাম লিকুইড উপকরণ বোঝাই একটি ড্রাম। তারপরই খুলে যায় সুতির বিস্ফোরক কারবারের রহস্য। বম্ব স্কোয়াডের কথায়, এই বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরককে কাজে লাগিয়ে মুর্শিদাবাদের যে কোনও একটি শহরকে নিমেষে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। তবে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের কোনও যোগাযোগ সামনে আসেনি। আপাতত ট্রান্সপোর্টের সেই উৎস বন্ধ হওয়ায় বিস্ফোরকের আনাগোনা সুতিতে কিছুটা হলেও কমেছে। কিন্তু বন্ধ করা যায়নি ঝাড়খণ্ড ও কালিয়াচকের বেআইনি পথ।