নীলবাড়ির লড়াইয়ে দফায় দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। তবে ২৯৪ আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৮৩ আসনের প্রার্থীর নাম জানানো হয়েছে। বাকি রাখা হয়েছে ১০ কেন্দ্রের ঘোষণা। পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি আসনটি জোটসঙ্গী আজসুকে ছেড়েছে বিজেপি।
কোচবিহারে এ বার বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককেও প্রার্থী করেছে. তিনি লড়বেন দিনহাটা আসন থেকে।
আলিপুরদুয়ার জেলায় ২০১৬ সালে মাদারিহাট আসন জিতেছিল বিজেপি। এ বারও সেখানে প্রার্থী হয়েছেন বিধায়ক মনোজ টিগ্গা।
গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে জলপাইগুড়িতে সুবিধাজনক জায়গায় বিজেপি। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি আসনে রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেবের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী শিখা চট্টোপাধ্যায়।
পাহাড়ের ৩টি আসনে এখনও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি।
উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি ও ইটাহার কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করেনি বিজেপি।
দক্ষিণ দিনাজপুরে মোট আসন ৬টি। গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিজেপি এগিয়ে ৩টি আসনে।
হবিবপুরে এ বারেও বিজেপি-র প্রার্থী ২০১৬ সালে জয়ী জোয়েল মুর্মু।
ইংরেজবাজারে প্রার্থী হয়েছেন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তিনি গত লোকসভা নির্বাচনে মালদহ দক্ষিণে পরাজিত হয়েছিলেন।
মুর্শিদাবাদে বিজেপি প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাগরদিঘি কেন্দ্রে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া মাফুজা খাতুন।
মুর্শিদাবাদের ২২টি আসনের সব ক’টিতেই লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে পিছিয়ে বিজেপি।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুর আসনের প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করেনি বিজেপি।
নদিয়া জেলায় সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রার্থী মুকুল রায়। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি লড়বেন কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে।
শান্তিপুর আসনে প্রার্থী হলেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
মতুয়া প্রধান বাগদা, বনগাঁ উত্তর এবং গাইঘাটা আসনে এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি।
বীজপুরে প্রার্থী মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়। খড়দহে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে আসা শীলভদ্র দত্ত।
বিজেপি-র দুই রাজ্য নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও শমীক ভট্টাচার্য প্রার্থী হয়েছেন যথাক্রমে কামারহাটি ও রাজারহাট-গোপালপুর আসনে।
মধ্যমগ্রামে প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী রাজশ্রী রাজবংশী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৩১টি আসনেই গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে পিছিয়ে বিজেপি।
ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলত্যাগী দীপক হালদার।
সোনারপুর দক্ষিণে বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু।
টালিগঞ্জে প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বেহালা পূর্ব ও পশ্চিমে দুই অভিনেত্রী পায়েল সরকার এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
ভবানীপুরে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে প্রার্থী করলেও এখনও ঘোষণা হয়নি রাসবিহারী আসনের প্রার্থীর নাম।
হাওড়ার বালি আসনে প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে আসা বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে।
উলুবেড়িয়া দক্ষিণে বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী। ডোমজুড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
চুঁচুড়ায় প্রার্থী হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অনেক বিতর্কের পরেও সপ্তগ্রামে বিজেপি-তে নবাগত দেবব্রত বিশ্বাস।
চণ্ডীতলায় প্রার্থী অভিনেতা ষশ দাশগুপ্ত।
পূর্ব মেদিনীপুরে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারী।
পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬টি আসনের মধ্যে একমাত্র এগরাতেই গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এগিয়ে বিজেপি।
ঝাড়গ্রাম জেলায় চারটি বিধানসভা আসন। ঝাড়গ্রাম আসনে প্রার্থী জেলা বিজেপি-র সভাপতি সুখময় শতপথি।
খড়্গপুর সদরে বিজেপি-র তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ডেবরায় প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ।
মেদিনীপুর আসনেও জেলা সভাপতি সমিত দাস প্রার্থী হয়েছেন।
পুরুলিয়া জেলায় লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। অধিকাংশ আসনেই গেরুয়াশিবির এগিয়ে রয়েছে।
বাঁকুড়া জেলায় মোট ১২টি আসন। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে সব ক’টিতেই এগিয়ে বিজেপি।
প্রথম দফায় ঘোষণা না হলেও পরে বড়জোড়া কেন্দ্রে জেলা মহিলা মোর্চার সভাপতি সুপ্রীতি চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে বিজেপি।
কালনায় বিজেপি-র প্রার্থী হলেন তৃণমূল থেকে আসা বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট আসন ১৬টি। এর মধ্যে দু’টিতে লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এগিয়ে বিজেপি।
অনেক বিতর্কের শেষে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া জিতেন্দ্র তিওয়ারি প্রার্থী হয়েছেন পাণ্ডবেশ্বর আসন থেকেই।
বীরভূমের সিউড়ি আসনে প্রার্থী সাংবাদিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
বীরভূম জেলায় মোট আসন ১১টি। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে তার মধ্যে ৫টিতে এগিয়ে বিজেপি।