Swapan Dasgupta

Bengal Polls: রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা স্বপন দাশগুপ্তের, মহুয়া মৈত্রের ‘সতর্কীকরণই’ কি কাজে লাগল

মহুয়ার টুইটের পর মঙ্গলবার সকালে রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দেন স্বপন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২১ ১৩:০৩
Share:

রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন স্বপন দাশগুপ্ত। অতঃপর বিজেপি-র হয়ে প্রার্থী হতে আর কোনও বাধা রইল না তাঁর, যা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে তিনি কি তাহলে মহুয়া মৈত্রের সতর্কীকরণ মেনেই ইস্তফা পাঠালেন?

Advertisement

তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি স্বপন। পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘উন্নততর বাংলা গড়ার যুদ্ধে নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে নিয়োজিত করতে আজ রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করলাম। আশা করি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তারকেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে পারব’। সংবিধান মেনে ইস্তফা দেওয়ার জন্য নেটমাধ্যমে তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন মহুয়া। টুইটারে লেখেন, ‘রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিলেন স্বপন দাশগুপ্ত। আপনাকে ধন্যবাদ স্যর। বাংলার নির্বাচনের জন্য শুভেচ্ছা রইল’।

নীলবাড়ির লড়াইয়ে স্বপনকে তারকেশ্বরে প্রার্থী করেছে বিজেপি। কিন্তু রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ এত দিন কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না। সোমবার রাতে নেটমাধ্যমে মহুয়াই বিষয়টি সামনে আনেন। তিনি লেখেন, ‘বাংলার নির্বাচনে স্বপন দাশগুপ্ত বিজেপি প্রার্থী। সংবিধানের দশম তফসিলে বলা রয়েছে, রাজ্যসভার কোনও মনোনীত সদস্য শপথগ্রহণ করার ৬ মাস পর যদি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন, তা হলে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। স্বপন শপথ নিয়েছিলেন ২০১৬-র এপ্রিলে। এখনও কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার জন্য এখনই তাঁর সদস্যপদ বাতিল করতে হবে’।

Advertisement

সোমবার পর্যন্ত স্বপন যে খাতায়কলমে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, তার প্রমাণ স্বরূপ রাজ্যসভার ওয়েবসাইটে সদস্যদের নিয়ে যে তথ্য রয়েছে, তা-ও নেটমাধ্যমে তুলে ধরেন মহুয়া। দেখায় যায়, তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে স্বপন কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন।

রাতেই বিষয়টি নিয়ে স্বপনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনন্দবাজার ডিজিটাল। তবে সেই সময় এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। বরং ফোনে জানিয়ে দেন, ভোটের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। পরে এ নিয়ে কথা বলবেন। তার পর সকাল হতেই রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। বুধবারের মধ্যে যাতে সেটি গৃহীত হয়, নায়ডুকে তেমন অনুরোধও জানিয়েছেন। ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মেয়াদ ছিল স্বপনের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement