নিজস্ব চিত্র।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেও গোটা নন্দীগ্রাম জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ বিজেপি-র। দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর, দোকানপাটে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ বিজেপি-র।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পালের অভিযোগ, নন্দীগ্রামের মানুষ শুভেন্দুকে দু’হাত ভরে ভোট দিয়েছেন। আর সেই রাগেই ফল ঘোষণার পর থেকেই নন্দীগ্রাম জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। বিজেপি নেতা কর্মীদের বাড়ি বেছে বেছে হামলা চালানো হচ্ছে। বহু দোকান, ক্লাব, বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। আতঙ্কের জেরে অনেকেই ঘর ছেড়ে আত্মগোপন করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রলয় আরও অভিযোগ করেছেন, রাতের অন্ধকারে নন্দীগ্রামের ভেতরে দুষ্কৃতীদের ঢোকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে পুলিশ। কেন্দেমারি, গোকুলনগর, সাতেঙ্গাবাড়ি প্রভৃতি এলাকায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বয়াল ১ ও ২, সোনাচূড়া প্রভৃতি এলাকায় মহিলারা রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। হামলার প্রতিবাদে মানুষ একজোট হয়ে প্রতিরোধ করছে বলেও দাবি তাঁর।
তবে এখনই শুভেন্দু নন্দীগ্রামে আসছেন না বলেই জানিয়েছেন প্রলয়। তিনি বলেন, “যিনি এলে ঝামেলা বাড়তে পারে তিনি কী করে আসবেন। তবে দাদা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছেন। উনি তো একা কিছু করতে পারবেন না। দাদা সবার পাশে দাঁড়ানোর সাধ্য মতো চেষ্টা করছেন।’’
বিজেপি-র অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের ব্লক সভাপতি স্বদেশ রঞ্জন দাস বলেন, ‘‘কিছু জায়গায় সমস্যা রয়েছে। তবে পুলিশ প্রশাসন রয়েছে। অভিযোগ পেলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে আবেদন জানানো হয়েছে দলের তরফে।’’ অন্য দিকে মমতার নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।