নিজস্ব চিত্র।
ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত পশ্চিম বর্ধমানে। আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার অন্তর্গত রানিগঞ্জ থানার বল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল যদিও বলছে, এর সঙ্গে তারা জড়িত নয়। এটা বিজেপি-র গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফল।
বিজেপি-র অভিযোগ, রাতে বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ফলে বাড়ির মহিলারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ওই এলাকার বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ঘরছাড়া। বেশ কিছু জায়গায় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে জল ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় রানিগঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা।
বিজেপি-র অভিযোগ, আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অংশুমান সাহার সঙ্গে দেখা করে পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও এই ধরনের ঘটনা ঘটছে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে।
দেবাশিস বলেন, ‘‘ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই এই ধরনের হামলা হচ্ছে। আমার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। এমনকি বাড়ির মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অনেক বিজেপি কর্মী ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। বাকিরা আতঙ্কে রয়েছেন।’’
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতি সঞ্জিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কোনও রকমের বিজয় মিছিল না করতে। আমরা নিজেদের মতো আনন্দ করছি। এই ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল যুক্ত নয়। বিজেপি-র দুটো গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ওরা তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।’’