নির্বাচনী প্রচারে অমিত শাহ।
গোসাবায় দাঁড়িয়ে সুন্দরবনের উন্নয়নের ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সুন্দরবনের উন্নয়নে আলাদা উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের পাশাপাশি বিশ্বের পর্যটক টানতে রাস্তা, ব্রিজ, পানীয় জলের মতো পরিকাঠামো উন্নয়নের কথাও বলেছেন অমিত শাহ। একই সঙ্গে সুন্দরবনকে আলাদা জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছেন শাহ।
গত বছর আমপান ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায়। তার পর থেকে তৃণমূল অভিযোগ করে আসছে, আমপানের ত্রাণে সামান্য টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। অন্য দিকে বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্র টাকা দিলেও তাতে দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতৃত্ব। মঙ্গলবার গোসাবার সভা থেকে অমিতের হুঙ্কার, ‘‘সরকারি টাকা যাঁরা খেয়েছেন, তাঁদের সবাইকে জেলে পুরব।’’
গোসাবার পর সেখান থেকে উড়ে যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুর। মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলা মোড় থেকে বটতলা মোড়ে গোলকুঁয়ার চক পর্যন্ত রোড শো করবেন তিনি।
অমিতের বক্তব্য:
১২.৪৮: আগামী ১ এপ্রিল আপনারা ভোট দিতে যাবেন। আপনারা নির্ভয়ে ভোট দেবেন। গুন্ডারাজ বরদাস্ত করা হবে না। কেউ বাধা দিতে পারবে না আপনাদের ভোট দানে।
১২.৪৫: বিজেপি সরকার বানান, মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হবে। মহিলাদের কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত বিনা পয়সায় পড়ানোর বন্দোবস্ত করা হবে। মোদীজি ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ূষ্মান ভারত প্রকল্পে দিচ্ছেন। কিন্তু আপনারা পাচ্ছেন না। বিজেপি ক্ষমতায় এলে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই আয়ূষ্মান ভারত চালু করা হবে। পরিবহণে মহিলাদের টিকিট লাগবে না।
১২.৪৪: অনুপ্রবেশ রোখা উচিত কি উচিত নয়। দিদি কি সেটা করতে পারবেন? আপনারা বিজেপি সরকার বানিয়ে দিন, একটা পায়রাও ঢুকতে পারবে না। আমরা সিএএ কার্যকর করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ করছি।
১২.৩৮: বিজেপি ক্ষমতায় এলে সুন্দরবনকে আলাদা জেলা করা হবে। সারা বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সুন্দরবনের উন্নয়ন হবে। মৎস্যজীবীদের ৩ লক্ষ টাকার বিমা করে দেওয়া হবে। ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হবে। বিজেপি যেখানে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পূরণ করেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, বাথরুম, গ্যাস পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু দিদি ২৮২ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার মধ্যে ৮২টাও পূরণ করেননি। দিদি জবাব দিন। জবাব তো উনি দিতে পারবেন না। তাই আপনার ভোট বাক্সে তার জবাব দিয়ে দেবেন।
১২.৩৬: সুন্দরবনের সঙ্গে দিদি অনেক অন্যায় করেছেন। আমরা ইস্তাহার প্রকাশ করেছি। তাতে বলা হয়েছে, সুন্দরবনের জন্য আলাদা উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করব আমরা। মোদীজি অনেক টাকাপয়সা পাঠিয়েছেন, কিন্তু আপনাদের কি সেই টাকা মিলেছে। মেলেনি। সব খেয়ে নিয়েছেন ভাইপো।
১২.৩৪: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যে বাংলায় ইংরেজদের পিছু হঠতে বাধ্য করেছিলেন, সেই বাংলা আজ তোলাবাজির বাংলায় পরিণত হয়েছে। এই গোসাবা বিধানসভা কলকাতার কাছাকাছি হলেও এখনও সে ভাবে উন্নয়ন হয়নি। বিশুদ্ধ পানীয় জল মেলে না। বিজেপি সরকার বানান, ২ বছরের মধ্যে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। বিভিন্ন এলাকার মধ্যে সংযোগকারী সেতু তৈরি হবে।
১২.৩২: আপনাদের সবাইকে আমার প্রণাম। আজ গঙ্গাসাগরের পবিত্র তীর্থভূমিতে এসে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। কথায় আছে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর এক বার। বনদেবীকে কোটি কোটি প্রণাম।