সে দিনের চার্টার্ড বিমান ‘অভিভাবক’ হিসেবে রাজীবদের সঙ্গে ছিলেন মুকুল রায়।
দিনক্ষণ পাকা ছিল আগে থেকেই। ঠিক ছিল ৩১ জানুয়ারি হাওড়ার ডুমুরজলায় বিজেপি-তে যোগ দেবেন তৃণমূল ত্যাগী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। দিল্লিতে বিস্ফোরণের জন্য অমিত শাহর বাংলা সফর বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু তাতে যোগদান আটকে থাকেনি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীবের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়া এবং রথীন চক্রবর্তীকে ‘চার্টার্ড বিমানে’ দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে শাহী দরবারে হাজির করে বিজেপি। সঙ্গে যান রানাঘাট পুরসভার পদত্যাগী প্রশাসক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ও। ওই চার্টার্ড বিমানে জায়গা না পেলেও ৩০ জানুয়ারি রাতেই অমিতের বাসভবনে যান অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
তাঁরা সকলেই প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু রবিবারের ফল বলছে, চার্টার্ড বিমানের সওয়ারিদের মধ্যে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের প্রার্থী পার্থসারথি ছাড়া সকলেই পরাজিত। রীতিমতো বড় ব্যবধানে ডোমজুড়ে পরাজিত রাজীব। একই অবস্থা বালি ও উত্তপাড়ার বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী এবং প্রবীরের। হাওড়ার শিবপুরে এবং কলকাতার ভবানীপুরে পরাজিত রথীন ও রুদ্রনীল।
সে দিনের চার্টার্ড বিমান ‘অভিভাবক’ হিসেবে রাজীবদের সঙ্গে ছিলেন মুকুল রায়। তিনি অবশ্য কৃষ্ণনগর উত্তরে জয় পেয়েছেন।