জয় নিয়ে বড় বেশিই নিশ্চিন্তে ছিল রাজ্য বিজেপি। অন্তত ভোট গণনার দিনের প্রস্তুতি সেই কথা বলেছে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় খারাপ ফলের ইঙ্গিত ছিল। তবু কেন্দ্রীয় নেতারা ভরসা দেখিয়ে গিয়েছেন। আর তাতে ভরসা করেই শনিবার থেকে সেজে ওঠে রাজ্য বিজেপি-র প্রধান নির্বাচনী দফতর।
৬, মুরলীধর সেন লেনের সদর দফতরের উপরে শুধু ভরসা না রেখে কলকাতার হেস্টিংসের কাছে আলাদা নির্বাচনী কার্যালয় বানায় বিজেপি। মূলত কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উদ্যোগেই ১০ তলা বাড়ির ৪টি তল নিয়ে তৈরি হয় সেই কার্যালয়। সেখানে সব রাজ্য নেতার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের আলাদা আলাদা ঘর তৈরি হয়। অত্যাধুনিক ‘কল সেন্টার’ তৈরি করে পেশাদার কর্মী নিয়োগ করে গেরুয়াশিবির। সেই দফতরে গত কয়েক মাস সব সময় ভিড় লেগেছিল। শুধু বিজেপি কর্মীদের নয়, সংবাদমাধ্যমের ভিড়ও লেগে থাকত। সেই দফতর কার্যত শূন্য রবিবার দুপুরে।
আয়োজন কম ছিল না। করোনাবিধি মানার জন্য এই বাড়ির পঞ্চম তলায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের জন্য আলাদা আলাদা কেবিন তৈরি করা হয়। প্রতিটি কেবিনে আলাদা করে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য রাজ্য নেতাদের কয়েকজনকে দায়িত্বও দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সব আয়োজন কার্যত বৃথা হয়ে যায়। রাজ্য নেতারা কেউ কেউ উপস্থিত থাকলেও তাঁরা নিজের নিজের ঘরেই।
বড় করে সাংবাদিক বৈঠকের প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু সেটা কী আকারে হবে, কারা সেখানে উপস্থিত থাকবেন তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও নিশ্চিত খবর নেই বিজেপি-র পক্ষে। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, দুপুর ২টো নাগাদ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছেন রাজ্য নেতারা। মনে করা হচ্ছে, এই ফলাফল নিয়ে কী বার্তা দেওয়া হবে তা ওই বৈঠকের পরেই ঠিক হবে।