আবু হাসেম খান চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।
৮০ ছুঁয়েছে তাঁর বয়স। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুর্বল হয়েছে শরীর। তবুও থেমে থাকেননি। আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আবদুল গনি খান চৌধুরীর ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরী। তিনি বলেন, “এ বারের নির্বাচনে কঠিন লড়াই হবে। এই নির্বাচন রাজ্য কংগ্রেসের অস্তিত্বের লড়াই। মালদহে কংগ্রেসের সম্মানের লড়াই।” তাই নিজের শরীরের তোয়াক্কা না করেই ঝান্ডা কাঁধে লড়াইয়ে সামিল হয়ে গিয়েছেন আবু হাসেম।
গনি খানের আর এক ভাই আবু নাসের খান চৌধুরী-সহ দুই ভাগ্নী শেহেনাজ কাদরী এবং মৌসম বেনজির নুর তৃণমূলে। কিন্তু কংগ্রেসের পতাকা ছাড়েননি আবু হাসেম। পরিবারের ৩ সদস্য অন্য দলে গেলেও মালদহে কংগ্রেসের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই চালাচ্ছেন কংগ্রেসের এই অশীতিপর নেতা। উত্তরসূরি হিসাবে তৈরি করে তুলছেন তাঁর ছেলে ইশা খান চৌধুরীকে।
মালদহের সুজাপুর বিধানসভা আজও কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক। ইশা খান চৌধুরী এই কেন্দ্রের বিধায়ক। বরাবর এই কেন্দ্রের ভোটাররা আবু হাসেমের বাড়ির সদস্যদের ভরসা করেছেন। পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। তাই এই কেন্দ্র দখলে রাখা ইশা খানের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ছেলেকে জেতাতে এবং সুজাপুর কেন্দ্রের মানুষের পাশে দাঁড়াতে তাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন আবু হাসেম। শারীরিক দুর্বলতা যেন সেই চ্যালেঞ্জের সামনে তুচ্ছ হয়ে গিয়েছে। তবে আবু হাসেম বলেন, “শুধু নিজের ছেলের জন্য নয়, শুধু সুজাপুর কেন্দ্রের জন্য নয়, মালদহ জেলার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য লড়াই চালাব।”