নিজেকে তিনি নানা ধরনের চরিত্রে দেখতে ভালবাসেন। এ বারের চরিত্রটা অবশ্য কিঞ্চিত আলাদা।
অভিনয় থেকে সদ্য রাজনীতির মঞ্চে এসেছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়। কিন্তু মোটে ২০১৫ সালে অভিনয় জগতে পা রাখা কৌশানী এত অল্প দিনেই রাজনীতিতে কেন, তা নিয়ে নানা মহলে কৌতূহল রয়েছে। কৌশানীকেও এ নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তিনি বলছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভাবে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেন, তা কাছ থেকে দেখেছি। দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমিও বেশি করে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।” সব ঠিকঠাক চললে আজ, মঙ্গলবারই তাঁর কৃষ্ণনগরে আসার কথা।
রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’ ছবিতে বনি সেনগুপ্তের বিপরীতে অভিনয় দিয়ে শুরু কৌশানীর। নজর কাড়েন প্রথম ছবিতেই। তারই রেশ ধরে কৌশানী বলছেন, ‘‘মমতাদি বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়তে পারব না আমি। ছোট থেকেই আমি ওঁর ভক্ত। আমার গোটা পরিবার একটা দলকেই অনুসরণ করে, সেটা হল তৃণমূল।’’
কিন্তু ভোটের দৌড়াদৌড়ি আর রাজনীতির ধকল কি নায়িকার সইবে?
কৌশানী মনে করিয়ে দিচ্ছেন, চরিত্রের প্রয়োজনে একটা সময়ে টানা পনেরো দিন ভাত না খেয়ে ছিলেন। দিন শুরু হতো ডাবের জল খেয়ে। নিজের তাগিদেই নতুন করে গড়েপিটে নিতে চেয়েছেন নিজেকে। বিশেষ কোনও চরিত্রের প্রয়োজনে নয়। ‘জামাই বদল’, ‘গার্লফ্রেন্ড’, ‘হইচই আনলিমিটেড’ এই তিনটি ছবিতে ছ’টি গানের শুটিং করতেই এই ক্লেশ সহ্য করা। ‘‘চেয়েছি, আমার আগের কাজগুলোর থেকে এই কাজগুলো যেন একেবারেই আলাদা হয়। আমার লুক, চেহারা সব যেন নতুন হয়। সেই ইচ্ছেতেই আমি বিশেষ ডায়েট মেনে চেহারা টোনড করেছি’’— বলছেন ঝরঝরে নায়িকা। এখনও সেই ডায়েট, ফিটনেস ট্রেনিং চলছে। কৌশানীর কথায়, ‘‘আমি বরাবর ফিটনেস কনশাস। এখন অতটা কঠোর নিয়ম পালন না করলেও মোটামুটি একটা রুটিনেই চলছি।’’
এরই মধ্যে কৌশানী নাকি তৈরি করে ফেলেছেন প্রচারের ছক। বলছেন— ‘‘আমি গ্রাউন্ড ওয়ার্ক সেরে ফেলেছি। এলাকার সমস্যার কথা শুনে সাধ্য মত সুরাহা করার চেষ্টা করব। এত দিন নারী স্বাধীনতা, নারীর অধিকার নিয়ে অনেক কথা বলেছি, এ বার মাঠে নেমে তা কাজে করে দেখানোর চেষ্টা করব। মহিলা ও কন্যসন্তানদের নিয়ে কাজ করতে চাই।’’
আর বলছেন, ‘‘আগামী ২ মে এই আসনটা জিতে যদি দিদিকে উপহার দিতে পারি, সেটাই আমার স্বপ্ন।’