ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার ভোট শেষ হওয়ার মুখে নবদ্বীপে তৃণমূলের মহিলা কর্মী-সহ অন্যান্য সমর্থকদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের দিন সন্ধ্যার সময় নবদ্বীপ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের অফিসের সামনে এবং সংলগ্ন বাড়ির বারান্দায় বসে থাকা তৃণমূল কর্মীদের বিনা প্ররোচনায় মারধর এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাড়া করে টহলদার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। ঘটনায় তাঁদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পুলিস-প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
নবদ্বীপ পুরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর ভারতী ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ভোটের দিন নবদ্বীপ বালিকা বিদ্যালয়ের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের দুশো মিটারের থেকেও বেশ কিছুটা দূরে নাপিত পাড়ার মোড়ে তৃণমূলের শিবির করা হয়। পাশেই সিপিএম এবং উল্টো দিকে বিজেপির শিবির। গোটা দিন নির্বিঘ্নেই ভোট হয়। সামান্য গোলমাল পর্যন্ত হয়নি। তিনি বলেন, “কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ভোটগ্রহণ যখন প্রায় শেষ, সবাই গল্পগুজবে ব্যস্ত। ঠিক সেইসময় হঠাৎ রাস্তা দিয়ে যাওয়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর দু’টি গাড়ি সেখানে থেমে যায়। কিছু বোঝার আগেই জওয়ানেরা নেমে লাঠির উঁচিয়ে তেড়ে আসে। মুখে অশ্রাব্য গালিগালাজ। শান্ত এলাকা সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে তাঁদের দাপাদাপিতে। কেন এমন করছে জওয়ানেরা বুঝতে না পেরে এ দিক ও দিক ছোটাছুটি করতে গিয়ে পড়ে অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।”
লাঠির ঘায়ে আহত নবদ্বীপ নন্দীপাড়া রোডের বাসিন্দা মহাদেব সাধুখাঁ বলেন, “বাড়ির সামনে বসে দু’তিন জন গল্প করছিলাম। যা ভোটগ্রহণ কেন্দ্র অন্তত তিনশো মিটার দূরে। হঠাৎ দু’গাড়ি বোঝাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নেমেই লাঠি পেঠা শুরু করে। আমার কাঁধে ও হাতে লাঠি দিয়ে মেরেছে। জানি না কেন এমন আচরণ। অথচ এখানে সারাদিন ভোট হয়েছে উৎসবের মেজাজে।”
তৃণমূলের নবদ্বীপ শহর সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ পাল বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী গোটা দিন বিভিন্ন জায়গায় এ ভাবে অহেতুক প্ররোচনামূলক আচরণ করেছে। এলাকায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”
নবদ্বীপ থানার পুলিশ জানিয়েছে। অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।