TMC

WB wlection 2021: নির্দল নাকি গন্তব্য গেরুয়া শিবির, প্রশ্নে অমল

তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, জনসংযোগের অভাব ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগে টিম পিকের সদস্যরা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অমলের সম্পর্কে ‘মাইনাস’ রিপোর্ট পেশ করেন।

Advertisement

গৌর আচার্য 

ইটাহার শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২১ ০৬:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

Advertisement

ইটাহারের পর পর দু’বারের তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্যকে এ বার টিকিট পাননি। এ প্রেক্ষাপটে অমল এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ইটাহার থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নাকি তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন—তা নিয়ে ইটাহার সমেত জেলার ন’টি ব্লকে তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের মধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে। অমল অবশ্য স্পষ্ট কোনও জবাব দেননি। তাঁর দাবি, শনিবার তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরের একাধিক নেতা তাঁকে ফোন করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।

অমল বলেন, ‘‘ইটাহারের বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কর্মী থেকে বাসিন্দা, সবাই আমাকে বিধানসভা নির্বাচনে ইটাহার থেকে ফের প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ করেছেন। তাঁদের অনুরোধে যদি আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি, তবে নির্দল নাকি অন্য কোনও দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব, তা নিয়ে অনুগামীদের সঙ্গে আলোচনা করে দু’একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেব।’’

Advertisement

তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, জনসংযোগের অভাব ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগে টিম পিকের সদস্যরা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অমলের সম্পর্কে ‘মাইনাস’ রিপোর্ট পেশ করেন। পাশাপাশি, ইটাহারে ৫০ শতাংশেরও বেশি সংখ্যালঘু ভোটার থাকার কারণে তাঁরা এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ইটাহার থেকে সংখ্যালঘু কোনও নেতাকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেন। সব মিলিয়েই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রে এ বার অমলের বদলে মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী করে বলে দলেরই একটি সূত্রে খবর।

বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, ‘‘২০১৭ সালে রায়গঞ্জ পুরসভা, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে অমলবাবুদের নির্দেশে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা রায়গঞ্জ সমেত জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির উপর হামলা চালিয়েছিল। দলের শীর্ষ নেতৃত্বও সব জানেন। অমলবাবুর বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারে কোনও কথা হয়ে থাকলে, দলের শীর্ষ নেতৃত্বই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’’

অমলের দাবি, ‘‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমাকে নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ঠিক রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। আর আমি এখনও জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের পদে আছি। তাই বিরোধীরা অভিযোগ তুলবেন, এটাই স্বাভাবিক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement