গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
নন্দীগ্রামে আঘাত পেয়ে হুইল চেয়ারে বসেই প্রচার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নন্দীগ্রাম আবেগকেই পাল্টা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাঁথিতে দাঁড়িয়ে মোদীর তোপ, নন্দীগ্রামের মানুষকে অপমান করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে এক বারও উচ্চারণ করেননি মমতার আঘাত পাওয়ার ঘটনার কথা।
বাংলার রাজনীতিতে নন্দীগ্রাম এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কার্যত নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সুফল ঘরে তুলেই বাংলায় ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছিলেন মমতা। কাঁথির সভা থেকে সেই নন্দীগ্রামের সেই দীর্ঘ আন্দোলনের আবেগ উস্কে দিয়েছেন মোদী। আবার ঘটনাচক্রে এই নন্দীগ্রামেই গত ১০ মার্চ প্রচারে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। আঘাতের পিছনে ‘চক্রান্ত’-এর কথা বলেছিলেন মমতা। তাকেও সুকৌশলে ব্যবহার করেছেন মোদী।
কাঁথির সভায় তিনি বলেন, ‘‘আপনারা দেখছেন, নন্দীগ্রামের বদনাম করার জন্য একটার পর একটা মিথ্যে কথা বলে চলেছেন দিদি। দিদি, নন্দীগ্রাম আপনাকে অনেক কিছু দিয়েছে। সেই নন্দীগ্রামের মানুষেরই বদনাম করছেন? পুরো ভারতবর্ষে তাঁদের অপমান করছেন? নন্দীগ্রামের আত্মাভিমানী মানুষ এর জবাব দেবেন।’’ নন্দীগ্রামের মানুষের ভাবাবেগকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চক্রান্তের তত্ত্বকেই খোঁচা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বারের ভোটে তৃণমূলের অন্যতম স্লোগান, ‘খেলা হবে’। মুখ্যমন্ত্রী আবার ভাঙা পায়েই খেলবেন বলে প্রচার সভায় বলছেন প্রায় প্রতিদিন। তার জবাবে বারবার বিজেপি নেতৃত্ব বলেছেন, তাঁরা উন্নয়নের খেলা খেলবেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রীও নিজস্ব স্টাইলেই তার জবাব দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘দিদি, আপনি খেলা খেলেন। আমরা খেলা করব না। আমরা সেবা করব। বিজেপি-র একটাই মন্ত্র, গরিবের রোজগার, গরিবের বাড়ি, গরিবের সম্মান। দিদি, বাংলার মানুষ আপনার খেলা বুঝে গিয়েছেন।’’