নন্দীগ্রামে মমতার আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে তদন্ত দাবি শিশির এবং দিব্যেন্দুর। নিজস্ব চিত্র।
নন্দীগ্রামের বীরুলিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে বুধবার রাত পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি তাঁর ভোট-প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছেন।
শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দিলেও শিশির এবং দিব্যেন্দু এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। তাঁরা দু’জনেই সাংসদ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার খবর পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। এরপর তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন কাজ করেছি। উনি আহত হয়েছেন শুনে ভীষণ খারাপ লাগছে। মুখ্যমন্ত্রী যখন বলছেন কোনও ষড়যন্ত্র হয়েছে, তবে তার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত এবং অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাঁদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত।’’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ইতিমধ্যেই মমতার তোলা ‘ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ’ উড়িয়ে দিতে চেয়েছেন কিন্তু শিশির বা দিব্যেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগকে উড়িয়ে দেননি। তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু বুধবার রাতে বলেন, ‘‘উনি (মমতা) আমার নেত্রী। এই ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। দোষীদের খুঁজে বার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেওয়া প্রয়োজন।’’
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার যে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন, সে বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। ‘জেড প্লাস’ ক্যাটিগরির নিরাপত্তা প্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেহরক্ষী এবং রাজ্য সরকারের এসএসইউ-এর (স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিট) সদস্যেরা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ৪-৫ জন যুবক মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।