পুরুলিয়ায় যোগী আদিত্যনাথ। নিজস্ব চিত্র
পুরুলিয়ায় এসে তৃণমূল সরকারের জন্য সময় বেঁধে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান ক্ষমতায় এলে তৃণমূল গুণ্ডাদের বেছে বেছে মারা হবে।
মঙ্গলবার যোগী বলেন, ‘‘তৃণমূলের হাতে আর ৪৫ দিন সময় রয়েছে। ২ মে-এর পর তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত। এই অরাজকতা দীর্ঘদিন চলতে পারে না। ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীকে বেছে বেছে মারব।’’
বলরামপুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী বানেশ্বর মাহাতোর সমর্থনে বলরামপুরে জনসভা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মঙ্গলবার তিনি আকাশপথে বলরামপুর পৌঁছন। হেলিপ্যাড থেকে ৪ কিলোমিটার সড়ক পথে এসে সরাই ময়দানে সভা করেন তিনি।
সভামঞ্চ থেকে বাংলার ঐতিহ্যের কথা মনে করিয়ে দেন আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, ‘‘আমি এসেছি রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি-র মাটিতে। এখানেই জন্ম নিয়েছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তৈরি হয়েছে বন্দেমাতরমের মতো গান, আমি এই মাটিকে প্রমাণ জানাই।’’ বিজেপি-র কার্যকর্তাদের উপর দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল অত্যাচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন যোগী। বলেন, ‘‘এখানে বিজেপি-র কর্মী, সংমর্থকদের উপর নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে শাসক দল। ২০১৯-এ আমি যখন পুরুলিয়ায় এসেছি, তখন আমাকে নামতে দেওয়া হয়নি। তখনও পুরুলিয়ায় এসে দেখেছিলাম, মানুষের কী বিপুল উৎসাহ। সেই কারণেই আমি এ বারও পুরুলিয়া থেকেই যাত্রা শুরু করব বলে ঠিক করেছি।’’
সভাস্থলে প্রবেশ করা নিয়ে মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা বাধে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। অনেক বিজেপি সমর্থকই অভিযোগ করেন, সভাস্থলে আসার পথে বারবার তাঁদের আটকেছে পুলিশ। হেনস্থা করা হয়েছে। সেই অভিযোগ টেনে যোগীর দাবি, ‘‘পুলিশের হাজার বাধা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ এই সভায় এসেছেন। আমি জানতাম, সব বাধা ভেঙে সভা হবে। সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা সেই আশা পূরণ করেছেন।’’
অমিত শাহ বা নরেন্দ্র মোদী একাধিক বার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন এই বলে যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা রাজ্যে আসতে দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের মানুষ। সেই প্রসঙ্গ টেনেছেন যোগীও। বলেছেন, ‘‘একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছতে পারছে না রাজ্য সরকারের বাধায়। বিজেপি সরকার গড়লে সব সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। তাই এই গুণ্ডাবাজদের সরকারকে সরাতে হবে। অমিত শাহ-যেমন বলেছেন, তেমনই বাংলার মানুষের কাছে তিনি ন্যায় পৌঁছে দেবেনই।’’