দীর্ঘ দিনের রাজনীতিক পরেশ পাল পরিচিত কাজের জনপ্রতিনিধি হিসেবেও। পোড় খাওয়া এই নেতা এ বার নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বেলেঘাটা কেন্দ্র থেকে।
নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামায় নিজের সম্পত্তির বিবরণ দিয়েছেন পরেশ। ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে তাঁর উপার্জন ২ লক্ষ ৭১ হাজার ৯০ টাকা।
এই মুহূর্তে পরেশের হাতে আছে ১৭ হাজার ৭৬৮ টাকা। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পরেশের নামে গচ্ছিত আছে যথাক্রমে ৪৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৬০ টাকা, ২ লক্ষ ১৯ হাজার ৮২১ টাকা, ২৬ হাজার ১০৬ টাকা, ১০ হাজার ৮৪০ টাকা এবং ২ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজার এবং জীবনবিমায় পরেশ কিছু বিনিয়োগ করেননি।
২০১৬ সালে একটি ফোক্সভাগন পোলো গাড়ি কিনেছিলেন পরেশ। দাম ছিল ৭ লক্ষ ৭১ হাজার ৭২০ টাকা।
কোনও কৃষিজমি না থাকলেও কলকাতায় দু’জায়গায় পরেশের নামে জমি আছে।
১৯৯৯ এবং ২০০৫ সালে তিনি জমি দু’টি কিনেছিলেন যথাক্রমে ১ লক্ষ ৭ হাজার ৬৪৬ টাকায় এবং ২ লক্ষ ২ হাজার ১৯৬ টাকায়। বর্তমানে জমি দু’টির বাজারদর যথাক্রমে ২ কোটি ৬১ লক্ষ ২৫ হাজার এবং ৭৬ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা।
মানিকতলায় পরেশের একটি দোকানঘর আছে। ১০০ বর্গফুট আয়তনের দোকানঘরটি তিনি ২০০৫ সালে কিনেছিলেন ৯১ হাজার ৭৭ টাকায়। বর্তমানে ওই দোকানের বাজারদর প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা।
এ ছাড়াও কলকাতায় চারটি বাড়ির কথা হলফনামায় উল্লেখ করেছেন পরেশ। এর মধ্যে ১৯৯৫ সালে প্রথমটি এবং বাকি তিনটি তিনি কিনেছিলেন ২০০৩ সালে। বর্তমানে চারটি বাড়ির মোট বাজারদর প্রায় ৩২ লক্ষ টাকারও বেশি।
পরেশের নামে কোনও ব্যাঙ্কঋণ চলছে না। হলফনামায় তিনি নিজেকে বিধায়ক হিসেবেই পরিচয় দিয়েছেন।
১৯৮০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলাবিভাগে স্নাতক হন তিনি।
চলতি বিধানসভা নির্বাচনে পরেশের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি-র কাশীনাথ বিশ্বাস এবং সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী সিপিএমের রাজীব বিশ্বাস।