বুথের সামনে বচসা তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের। নিজস্ব চিত্র।
ভোট শুরু হতেই হাওড়া স্টেশন লাগোয়া গোলমোহর মাঠে একটি বুথের সামনে তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উত্তর হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী উমেশ রায়। এর পরই ঘটনাস্থলে যান হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা তৃণমূলনেত্রী লক্ষ্মী সাহানি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী সন্তোষ সাহানিও। অভিযোগ, তাঁদের নেতৃত্বে তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এমনকি তাঁকে বুথে ঢুকতেও বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তা নিয়ে দু’দলের কর্মীদের প্রথমে বচসা বাধে। তার পর তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গোলাবাড়ি থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী আসে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও আসেন। তার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই ঘটনায় দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। বিজেপি প্রার্থী উমেশের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা জোর করে বুথ দখলের চেষ্টা করছিলেন। খবর পেয়ে তিনি ওই বুথে ছুটে আসেন। তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করায় তৃণমূল নেতা সন্তোষের নেতৃত্বে তাঁদের উপর হামলা চালান তৃণমূল কর্মীরা। পাল্টা অভিযোগ করেছেন সন্তোষ সাহানি। তিনি বলেন, “বিজেপি প্রার্থী দলীয় কর্মীদের নিয়ে জটলা করছিলেন বুথের কাছে। সেখান থেকে সরে যেতে বলা হলে ঝামেলা শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী এবং কর্মীরা।”