ফাইল চিত্র
একদিনে ৯ কর্মসূচি। শুরু সকাল সাড়ে দশটায়, শেষ রাত সাড়ে আটটায়। সোমবার নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর ঠাসা কর্মসূচি। আপাতত নিজের কেন্দ্রেই সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছেন তিনি। কারণ এটাই গেরুয়া শিবিরের নতুন কৌশল। ‘ভোকাল ফর লোকাল’ নীতিতে যুদ্ধ জয় করতে চাইছে বিজেপি। অর্থাৎ, নিজের এলাকায় প্রার্থীদের পড়ে থাকতে হবে। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ তেমনই। মোদী বা শাহের সভায় ভিড় নয়, নিজের কেন্দ্রে প্রচারে জোর দিতে হবে, এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দুও সেই পথেরই পথিক।
সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সভা দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেছেন শুভেন্দু। একই এলাকায় তিনটি পথসভা রয়েছে তাঁর। দুপুর ১.৩০ পর্যন্ত পরপর পথসভা চলবে ভেকুটিয়ায়। ১.৩০ থেকে ৩.৩০ পর্যন্ত দলের স্থানীয় ১ হাজার নেতা-কর্মীর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তিনি। তারপর ফের শুরু সভা। ৩.৩০ থেকে হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দু’টি সভা রয়েছে শিশির পুত্রের। সেখানকার পথসভা সেরে তিনি যাবেন নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বিকেল ৫.৩০ থেকে নন্দীগ্রামে সভা শুরু করবেন। এখানেও তিনটি সভা করবেন রাত ৮.৩০ পর্যন্ত।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
স্থানীয় স্তরে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে অন্য বিজেপি নেতৃত্বেরও। রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে সকাল ১০টা থেকে রোড শো শুরু করেছেন। সোমবার মোট তিনটি রোড শো রয়েছে দিলীপের। দাঁতন, নারায়ণগড় ও কেশিয়াড়িতে।
অন্য দিকে, সোমবার রাজ্যে একাধিক কর্মসূচি নিয়ে আসছেন স্মৃতি ইরানি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও সোমবার তিনটি সভা করবেন। সকাল ১১.৩০ থেকে শুরু হয়েছে কর্মসূচি। ঘাটাল, হলদিয়া ও নন্দকুমারে সভা করবেন তিনি।