Mithun Chakraborty

Bengal Polls: ভোট মৃগয়ায় জঙ্গলমহলের পথে নামছেন মিঠুন, শুরুতেই ৪ ছোবলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ‘জাত গোখরো’

বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় ৩টি ও ঝাড়গ্রামে ১টি রোড-শো করবেন তিনি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবারেও প্রচার সূচি রয়েছে মিঠুনের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২১ ১৭:২৮
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

আকাশেও উড়বেন। পথেও নামবেন। বৃহস্পতিবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণের আগে শেষ দিনের প্রচারে পথে নামছেন গেরুয়াশিবিরের অভিনেতা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। প্রচার শুরুর প্রথম দিনেই চার কর্মসূচি। সব ক’টিই জঙ্গলমহলে। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় ৩টি ও ঝাড়গ্রামে ১টি রোড-শো করবেন তিনি।

Advertisement

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারের পর রবিবারেও প্রচার সূচি রয়েছে মিঠুনের। ওই দিন রোড-শো করবেন বাঁকুড়ার ইন্দাস ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। তবে আপাতত প্রস্তুতি চলছে বৃহস্পতিবারের চার রোড-শো নিয়ে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যে প্রচারে অংশ নেবেন অমিত শাহ থেকে যোগী আদিত্যনাথ। একের পর এক সভা করবেন গৌতম গম্ভীর, রাজনাথ সিংহ। সেই সঙ্গে মিঠুনও।

বৃহস্পতিবার সক্কাল সক্কাল কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে বেরিয়ে পড়বেন। প্রথমেই বাঁকুড়ার ছাতনা বিধানসভা এলাকায়। এর পরে শালতোড়া। মাঝে ঝাড়গ্রাম হয়ে বাঁকুড়ার রায়পুরে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদীর সমাবেশে বিজেপি-তে যোগ দেন মিঠুন। সেদিন ২০০৬ সালে তাঁর অভিনীত ছবি ‘অভিমুন্য’র সংলাপ ধার করে বিজেপি-র হয়ে ‘জাত গোখরো’ স্লোগান দিয়েছিলেন মিঠুন। ধুতি-পাঞ্জাবি পরে আদ্যোপান্ত বাঙালি সাজেই মোদীর মঞ্চে যান। মিঠুনকে মঞ্চে পেয়ে তাঁর অভিনীত ছায়াছবির সংলাপ শুনতে চান বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকরা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে মিঠুন নিজের ছবির সংলাপ ধার করে প্রথমে বলেন, ‘‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে, এই ডায়লগটা চলবে।’’ এর পরই তাঁর সংযোজন, ‘‘আমার প্রচার শুরু করার আগে, একটা জিনিস মাথায় রাখবেন। এখানে সকলের ভাষণ এক জায়গায় করলে যা দাঁড়ায় তা হল, আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো। এক ছোবলে ছবি।’’ এ বার তেমন করেই ডায়লগের বন্যা বইতে পারে বিভিন্ন কেন্দ্রে। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রথম দফার ক্ষেত্রে একটু দেরি হয়ে গেলেও বাকি ৭ দফার ভোটগ্রহণের আগে অনেক বেশি কর্মসূচিতে পাওয়া যাবে মিঠুনকে।

Advertisement

একটা সময় পর্যন্ত মিঠুনকে নীলবাড়ির লড়াইয়ে প্রার্থী করার কথাও ভেবেছিল বিজেপি। রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতারাও সে কথা প্রকাশ্যে বলেছিলেন। কিন্তু পরে জানা যায়, মিঠুন নিজেই ভোটে লড়ার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত দল যদি প্রার্থী করতে চায় তার প্রস্তুতি তিনি নিয়ে রেখেছিলেন। কয়েকদিন আগেই বাংলার ভোটার হন তিনি। কলকাতায় বোনের বাড়ির ঠিকানায় ভোটার লিস্টে নাম তোলেন। অতীতে তৃণমূলের সঙ্গে থাকলেও কখনও নির্বাচনের ‘অগ্নিপথ’-এ হাঁটতে হয়নি মিঠুনকে। সে ভাবে ভোট প্রচারেও নামেননি তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। গেরুয়া শিবিরের হয়ে এ বার সেই নতুন ভূমিকায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement