শনিবার দিনহাটা সংহতি ময়দানে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে বিজেপি-র দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন ভূষণ সিংহ। —নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ জল্পনার পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিলেন কোচবিহার পুররসভার প্রশাসক ভূষণ সিংহ। কোচবিহারে ভোটের আগে শনিবার দিনহাটা সংহতি ময়দানে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে বিজেপি-র দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। ভূষণের দাবি, তৃণমূলে থেকে কোনও কাজ করতে পারছিলেন না তিনি। যদিও দল পাল্টানোর পর তা নিয়ে ভূষণকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল।
দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক মহলে ভূষণের দলবদলের জল্পনা চলছিল। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক বার প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন তিনি। দলের থেকে সম্মান পাচ্ছেন না বলে বার বার অভিযোগ করেছেন ভূষণ। কোচবিহার পুরসভার পুরপতি থাকাকালীন তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও প্রকাশ্যে মুখ খুললেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। অবশেষে ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফায় কোচবিহারের ৯টি বিধানসভা আসনে ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদান করলেন তিনি। গেরুয়া শিবিরে পা রাখার পর ভূষণ বলেন, “তৃণমূলে থেকে দমবন্ধ হয়ে আসছিল। কোচবিহার পুরসভার পুরপতি থাকাকালীন আমাকে কাজ করতে দেয়নি তৃণমূল। ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসেছিলাম। কোনও কাজের জন্য ফান্ডও দেওয়া হয়নি। ভবিষ্যতে বিজেপি-র হয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। তাই বিজেপি-তে যোগদান করলাম।”
ভূষণের দলবদলের পর তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “এর পরে আর কোনও দল পরিবর্তনের জায়গা নেই ভূষণ সিংহের। ইতিমধ্যেই তিনি সব রাজনৈতিক দলই করে ফেলেছেন। কারও নীতি-আদর্শ না থাকলে এ রকমই হয়। ভূষণ সিংহ বিজেপি-তে যাওয়ায় তৃণমূলেরই লাভ হয়েছে। দলে থাকলে বরং তৃণমূলের ক্ষতিই হত।