মঙ্গলবার তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি-র মহিলা এজেন্ট। —নিজস্ব চিত্র।
নানুরে তাঁকে গণধর্ষণের যে খবর নেটমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা পুরোপুরি মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিলেন বিজেপি-র এক মহিলা এজেন্ট। মঙ্গলবার তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে বসে সাংবাদিক বৈঠকে ওই মহিলার দাবি, তাঁর সঙ্গে এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। ওই মহিলার মতোই অনুব্রতও দাবি করেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ একেবারেই ভুয়ো। গোটা ঘটনাটাই বিজেপি-র আইটি সেলের কাজ। নেটমাধ্যমে গণধর্ষণের ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীও। যদিও গোটা বিষয়ে বিজেপি-র জেলা নেতৃত্ব কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
নির্বাচনের পর থেকেই নানুরের বিজেপি কর্মী তথা এজেন্ট অপর্ণা রায়ের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ করেছিলেন তাঁর দলের একাংশ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই টুইটার এবং ফেসবুকে বিজেপি নেতারা দাবি করতে থাকেন যে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়। এর পরই বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে ওই মহিলাকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন অনুব্রত। তিনি বলেন, “এ ভাবে ভুয়ো খবর রটাচ্ছে বিজেপি-র আইটি সেল। এ ভাবে একজন মহিলার বদনাম করা একেবারেই ঠিক নয়। এই মহিলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷”
অনুব্রতের মতোই গোটা ঘটনাকে মিথ্যা বলে আখ্যা দিয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর দাবি, ‘‘নির্বাচনের দিন আমার বাড়ির সামনে হই-হুল্লোড় হচ্ছিল বলে ভয়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। কে বা কারা রটিয়েছে যে আমাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ কথা একেবারেই মিথ্যে। আমার সঙ্গে এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি।”
তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানুরের দু’জন মহিলা এজেন্টকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। এমনকি, বহু মেয়ের শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এ নিয়ে নেটমাধ্যমে বার বার পোস্ট করতেও দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে। গোটা ঘটনায় মঙ্গলবার মুখ খুলেছেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীও। তিনি বলেন, “কিছু পার্টির লোক নেটমাধ্য়মে প্রচার করছে যে নানুরে দু’জন বিজেপি মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে৷ এই খবর একেবারেই ভুয়ো। এমন কিছুই হয়নি। আমরা নানুরের বিজেপি প্রার্থী ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। কিন্তু এমন তথ্যই তাঁদের কাছে নেই।” তাঁর আরও দাবি, “নির্বাচনের পর বীরভূমে বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। যে বা যারা এমন করছে, তার বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।”
গোটা ঘটনা নিয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহাকে ফোন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।