অমিত শাহ এবং যোগী আদিত্যনাথ।
প্রথম দফার ভোট শনিবার। বৃহস্পতিবার তার শেষ প্রচারের দিন। দ্বিতীয় দফার ভোট পরের বৃহস্পতিবার। প্রচারের শেষ দিন ৩০ মার্চ মঙ্গলবার। প্রচারের এই দুই শেষ দিনে প্রচারে ঝড় তুলতে চায় বিজেপি। আর তার জন্য নন্দীগ্রামে অমিত-অস্ত্র ব্যবহার করতে চায় পদ্মশিবির। দ্বিতীয় দফায় ১ এপ্রিল ভোটগ্রহণ নন্দীগ্রামে। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রচারের সময় শেষ হওয়ার ঠিক আগে সেখানে সভা করবে অমিত শাহ। ঠিক হয়েছে নন্দীগ্রামের ভিতরে হরিপুরের মাঠে হবে সেই সভা।
তবে তারও আগে গেরুয়াশিবির গেরুয়াধারী যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে আসছে নন্দীগ্রামে। তেখালিতে দাঁড়িয়েই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন নীলবাড়ির লড়াইয়ে তিনি নন্দীগ্রামের প্রার্থী হবেন। এ বার সেই তেখালিতেই আসছেন বিজেপি-র হিন্দুত্বের প্রতীক উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মোট ৩টি সভা করবেন যোগী। একটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরে, একটি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়ে এবং শেষেরটি নন্দীগ্রামে। বিজেপি ও তৃণমূল নন্দীগ্রামে ধর্মীয় মেরুকরণের পথে হাঁটছে বলে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ বার যোগীর সভা যেন সেই আলোচনাকেই সিলমোহর দিতে চলেছে। নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী নিজেই এমন কথা জানিয়েছিলেন যে, তিনিই যোগীকে নন্দীগ্রামে সভা করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে একেবারে শেষ বেলায় অমিত নন্দীগ্রামে সভা করতে আসাটাকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতাদের আশাব্যাঞ্জক বক্তব্য, ‘‘শেষ ভাল যার, সব ভাল তার। অমিত শাহ-র কথাই যাতে ভোটারদের কানে লেগে থাকে তার জন্যই মঙ্গলবার দিনটা তাঁর সভার জন্য বাছা হয়েছে।’’
অমিত অবশ্য প্রথম দফার ভোটগ্রহণের শেষ দিন বৃহস্পতিবারও রাজ্যে থাকছেন। এক দিনে চারটি সমাবেশ করবেন তিনি। সকাল থেকে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা ও বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। এর পরে সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুরেই সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেবেন অমিত।
বৃহস্পতিবারের পদ্ম-প্রচারে ঝড় তুলতে রাজ্যে আসছেন ক্রিকেটার সাংসদ গৌতম গম্ভীরও। দাঁতন, সোনামুখী এবং চুঁচুড়ায় কর্মসূচি তাঁর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ থাকবেন জয়নগর, চণ্ডীতলা, তালডাংরায়। প্রচারে নামছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। তিনি ছাতনা, শালতোড়া, ঝাড়গ্রাম ও রায়পুর বিধানসভা এলাকায় রোড-শো করবেন।