অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপি-কে পরোক্ষে ‘ভিখারি’ বলে কটাক্ষ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেকের যুক্তি, না হলে নিজেদের জাতীয় দল বলে দাবি করা বিজেপি-কে প্রার্থীর খোঁজে তৃণমূলের ছেড়ে যাওয়া নেতাদের দ্বারস্থ হতে হবে কেন?
শুক্রবার ডায়মন্ড হারবারে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন অভিষেক। সেখানে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘বিজেপি দলটার কী অবস্থা! একদিকে বলে আমরা পৃথিবীর সবথেকে বড় দল, অন্যদিকে তারা থালা পেতে রয়েছে। কখন তৃণমূলের একজন নেতা বেরোবে আর তাকে প্রার্থী করা হবে।’’
ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পান্নালাল হালদারের সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন অভিষেক। সেখানেই বিজেপি-র বাঙালি নেতা ও কর্মীদের দৈন্য দশার কথা জানিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা ছিল, কিন্তু হেলিকপ্টার নামেনি। আগের বার সর্বভারতীয় সভাপতি বলেছিলেন আমাদের ঢুকতে দিচ্ছে না। এবার কে ঢুকতে দিলো না! ডায়মন্ড হারবারে মিটিং থাকলেই হেলিকপ্টার নামে না। বলি, লোক না থাকলে সে দায় কি আমাদের। বুথে নিজেদের এজেন্ট বসাতে পারে না, তবে কি তৃণমূলের লোকজন বিজেপি-র হয়ে বুথে বসবে!’’ গত মঙ্গলবার সরিষাতে সভা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর। সেই প্রসঙ্গ তুলেই বিজেপি-কে আক্রমণ করেন অভিষেক।
এই প্রসঙ্গে বিজেপিতে যাওয়া তৃণমূল প্রাক্তনীদেরও আক্রমণ করেন অভিষেক। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে ‘বড় বিশ্বাসঘাতক’ এবং দীপক হালদারকে ‘ছোট বিশ্বাসঘাতক’ বলে উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, ‘‘কলকাতায় যে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল, তার পদলেহন করে বড় বিশ্বাসঘাতক বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিল। আর বড় বিশ্বাসঘাতকের পদলেহন করে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছে ছোট বিশ্বাসঘাতক।’’ নন্দীগ্রামের ভোটের কথা উল্লেখ করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কাল তো বড় বিশ্বাসঘাতকের পতন হয়ে গিয়েছে নন্দীগ্রামে। আর ছোট বিশ্বাসঘাতক ৬ তারিখে বিসর্জন হয়ে যাবে। ছক্কা মেরে ভোকাট্টা করে দেব।’’
শুক্রবার পারুলিয়া থেকে স্টেশন বাজার পর্যন্ত রোড-শো শেষ করে পরে স্টেশন বাজারেই ট্যাবলোতে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী দীপক হালদারও তৃণমূল ছেড়ে এসেছেন। শুভেন্দু, রাজীবের সঙ্গে একই সারিতে রেখে তাঁকেও আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, ‘‘এখন বলছে পাঁচ বছর নাকি কাজ করতে দেওয়া হয়নি। নিজের পরিবারের কত লোককে চাকরি দিয়েছে বলবো? এখন খালি নাটক করা হচ্ছে!’’
এদিনের সভায় ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লক ও পুরসভা থেকে অগনিত তৃণমূল কর্মী, সমর্থক অংশ নেন পদযাত্রায়। জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে প্রচার সভার জন্য যানচলাচল ব্যাহত হয় দীর্ঘক্ষণ।