ভোট প্রচারে মান্নান। নিজস্ব চিত্র।
গত ২০ বছর ধরে পালাবদলের হাওয়া স্পর্শ করেনি হুগলির চাঁপদানিকে। আশপাশে ক্ষয়রোগের মধ্যেও ওই কেন্দ্রে অটুট কংগ্রেসের দুর্গ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান চার বারের বিধায়ক ওই কেন্দ্রে। তবে গত লোকসভা ভোটের নিরিখে ওই কেন্দ্রে পিছিয়ে হাতশিবির। যদিও এ বার জোটের অঙ্ক মিলিয়ে চাঁপদানি থেকে ফের এক বার জয়ই দেখছেন মান্নান।
আগামী ১০ এপ্রিল যে যে কেন্দ্রে ভোট তার মধ্যে রয়েছে হুগলির ওই কেন্দ্রও। পরিসংখ্যান বলছে, চাঁপদানিতে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৭ হাজার ভোটে জিতেছিলেন মান্নান। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১ হাজার ৮৫৯ ভোটে ওই কেন্দ্রে এগিয়ে তৃণমূল। অবশ্য সে বার কংগ্রেসের হাত ধরেনি বামেরা।
মান্নানের বিপরীতে রয়েছে তৃণমূ্লের প্রার্থী অরিন্দম গুঁই, যিনি বৈদ্যবাটি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানও বটে। আবার বিজেপি-র প্রার্থী ডানকুনির বাসিন্দা। তৃনমূল এবং বিজেপি দু’দলই প্রচারে অনেকটা এগিয়ে থাকলেও, মান্নান নেমেছেন স্বকীয় ভঙ্গিতেই। বাড়ি বাড়ি ঘুরেছেন। চাঁপদানিতে কংগ্রেসের নির্দিষ্ট ভোটব্যাঙ্ক থাকলেও, মান্নানকে জিততে নির্ভর করতে হবে বামেদের উপরেই। আর জোটের অঙ্ক মিলিয়ে ফের জয়ের আশা দেখছেন একদা অঙ্কের শিক্ষক।
অকৃতদার মান্নান আদতে হুগলির খানাকুলের বাসিন্দা। তবে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি রয়েছেন শেওড়াফুলিতে। সাদামাঠা জীবনেই অভ্যস্ত মান্নান। আর সেটা তাঁর অন্যতম পরিচয়ও বটে। প্রচারে তিনি তুলে ধরেছেন এলাকায় তাঁর নানা উন্নয়নমলক কাজ। মান্নানের মত, ‘‘বিজেপি-র প্রার্থী বহিরাগত। তাঁকে মানুষ ভোট দেবে না। আর তৃণমূল প্রার্থীর বদনাম অনেক।’’