দিনহাটায় বিজেপি নেতার মৃত্যু নিয়ে কমিশনে রিপোর্ট বিবেক দুবের। —ফাইল চিত্র।
কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপি নেতা অমিত সরকারের মৃত্যু খুন নয়। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। খুনের তত্ত্ব খারিজ করে নির্বাচন কমিশনে এমনই রিপোর্ট দিলেন রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। সূত্রের খবর এমনটাই।
গত ২৪ মার্চ অর্থাৎ বুধবার সকালে দিনহাটার পশু হাসপাতালের বারান্দায় দেখতে পাওয়া যায় অমিতের ঝুলন্ত দেহ। তিনি বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি ছিলেন। অমিতকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তা নিয়ে ময়দানে নামে গেরুয়া শিবির। দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের নেতৃত্বে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান হয়। কিন্তু সোমবার খুনের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। সূত্রের খবর, কমিশনে তিনি যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রার্থী না হতে পেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অমিত। তিনি ওষুধ খাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন। অবসাদ থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছিল সুইসাইড নোটও। তা অমিতের লেখা কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। অমিতের দেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিক ভাবে পুলিশও ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসাবেই মনে করছিল। তাতে সিলমোহর দিল বিবেকের রিপোর্ট।
ঘটনার দিন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের কোপ প়ড়েছিল দিনহাটায় তৃণমূলের দলীয় দফতরেও। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের। সোমবার কমিশনে বিবেকের রিপোর্ট জমা পড়ার পর দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘মৃত্যুর দিন থেকেই বলে আসছি, এটা আত্মহত্যা। বিবেক দূরের রিপোর্টে সেটাই প্রমাণিত হল।’’ এর পাশাপাশি উদয়নের দাবি, ‘‘অমিতের সুইসাইড নোটে যে ৩ জন ব্যক্তির নাম লেখা রয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’’ এ বিষয়ে বিজেপি নেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, ‘‘অমিতের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমাদের কাছে নেই। তাই তাঁর মৃত্যু আত্মহত্যা কি না আমরা সঠিক বলতে পারব না। তবে যে ভাবে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটা খালি চোখে দেখলে বোঝা যায়, তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিবেক দুবে যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, সে ব্যাপারে আমরা উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।’’