ভোটগ্রহণ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বিধাননগর আসনের শান্তিনগর ও চাউলপট্টিতে। দু’জায়াগাতেই বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণ আনে। তবে এর মধ্যেই এক মহিলা ভোটার আক্রান্ত হন।
শান্তিনগরে ভোট দানে বাধার অভিযোগে তৃণমূল ও বিজেপি-র মধ্যে বচসা এক সময়ে হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। বিজেপি-র অভিযোগ ভোটারদের ভোট না দিতে দিয়ে বুথ লুঠের চেষ্টা করছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাদের বাঁধা দিতে গেলেই গোলমালের সূত্রপাত। শান্তিনগর এলাকার একটি বুথ থেকে তাদের এজেন্টকে মারধোর করে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ বিজেপি-র। তবে তৃণমূল দাবি করেছে, প্রথমে বিজেপি-র পক্ষ থেকেই আক্রমণ হয়। মারামারি শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের মধ্যে, চলে ইট বৃষ্টি। কমবেশি আহত হয়েছেন দুই শিবিরের কর্মীরা। নামানো হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। জমায়েত সরাতে লাঠিচার্জও করতে হয়। পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের টহলদারিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
শান্তিনগরের পাশাপাশি বিধাননগরের চাউলপট্টিতেও গোলমালের ঘটনা ঘটে। সেখানেও বুথের বাইরের জটলা সরাতে গেলে তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি প্রার্থীকে ব্যপক গালিগালাজ করেন বলেই অভিযোগ। সঙ্গে তাঁকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন তাঁরা। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামল দিয়ে সব্যসাচীকে এলাকা থেকে বের করে নিয়ে যান। বিজেপি-র অভিযোগ, বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর তথা কো-অর্ডিনেটর জয়দেব নস্কর বুথের বাইরে লোকজড়ো করে বুথ লুঠের পরিকল্পনা করেছিলেন। বিজেপি প্রার্থী গিয়ে সেই ছক বানচাল করে দিতেই মারমুখী হয়ে ওঠে তৃণমূল কর্মীরা। যদিও, গেরুয়া শিবিরের সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল।