পঞ্চম দফার ভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটল বর্ধমানে। কোথাও বিজেপি-র এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ উঠল, কোথাও বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটল। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এই সব ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
বিজেপি-র অভিযোগ, বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের সরাইটিকর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭০, ৭১, ৭২ ও ৭৩ নম্বর বুথে তাদের এজেন্টকে মারধর করেছে তৃণমূল। অজিত সরকার ও অজিত সরেন নামে দু’জন জখম এজেন্টকে ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার দুবরাজদীঘি হাইস্কুলের ৩৭ নম্বর বুথের সামনে ঝামেলা হয়। এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। লাঠি দিয়ে মেরে সন্দীপ দে নামে এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সেই কর্মী চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে। জামালপুরের বেশ কয়েকটি বুথেও বিজেপি এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
যদিও সব ক’টি ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, এই সব ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়।
মেমারি বিধানসভার মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দিরের ২৩৩ নম্বর বুথে প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে বিজেপি-র এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি-র আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের এজেন্টকে তাড়া করে বের করে দেয়। যদিও পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভুল বুঝে আবার সেই এজেন্টকে বুথে বসতে দেয়।