প্রতীকী ছবি।
অমিত শাহ আসার ২৪ ঘণ্টা আগেই রেলশহর জমজমাট।
আজ, রবিবার শাহ যে পথে রোড শো করবেন শাহ শনিবার সেই একই পথে সাইকেল র্যালি করল তৃণমূল। মনোনয়ন জমা দিয়েই এ দিন সকালে শহরের ৭নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি এলাকায় পায়ে হেঁটে প্রচার করেন বিজেপির তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
রেলশহর বিজেপির খাসতালুক। এখানে হিরণের মতো তারকাকে প্রার্থী করায় প্রশ্ন উঠেছিল বিজেপির অন্দরে। বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য এসব আলোচনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, প্রদীপ উপনির্বাচনে জিতেছেন ঠিকই কিন্তু এ বার বিধানসভা ভোটে রেলশহর পুনরুদ্ধার হবেই। তাই তো হিরণের সমর্থনে প্রচারে আসছেন শাহ। আসার কথা প্রধানমন্ত্রীও। এ দিন নিমপুরা থেকে মালঞ্চ রোড হয়ে ট্রাফিক পর্যন্ত সাইকেল র্যালি করেন প্রদীপ। আজ, রবিবার শহরের ধোবিঘাট ময়দানে শাহের বিশেষ হেলিকপ্টার নামার জন্য তৈরি হচ্ছে হেলিপ্যাড। সেখান থেকেই হুডখোলা গাড়িতে প্রার্থীকে নিয়ে অতুলমণি স্কুল থেকে মালঞ্চ রোড হয়ে সুপার মার্কেট পর্যন্ত হবে শাহের রোড-শো। শাহের যাত্রাপথ প্রায় এক কিলোমিটার হলেও প্রদীপের এ দিনের র্যালি ছিল প্রায় চার কিলোমিটার।
বিজেপির কর্মসূচির পর সাধারণত একই জায়গায় পাল্টা কর্মসূচি করতে দেখা যায় শাসকদলকে। তবে শাহের ক্ষেত্রে আগেই পথে নেমে পড়ল তৃণমূল। পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে একই রুটে এ দিন সাইকেল র্যালি করেন শহরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের প্রার্থী। প্রদীপ বলেন, ‘‘অমিত শাহ আসুন বা নরেন্দ্র মোদীই আসুন খড়্গপুরের মানুষ মনোনয়ন জমার দিনেই বুঝিয়ে দিয়েছে তাঁরা প্রদীপ সরকারকে চায়। অমিত শাহ একদিন এসে ঘুরে যাবেন। কিন্তু সারাবছর শহরে জল, আলো আমরাই দেব।” রাজনীতির ময়দানে নতুন নয়। তাই শিবির বদল করলেও তিনি যে কড়া টক্কর দিতে প্রস্তুত তা এ দিন বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন হিরণ। মনোনয়ন জমা দিয়েই এ দিন সকালে শহরের ৭নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি এলাকায় পায়ে হেঁটে প্রচার করেন বিজেপির তারকা প্রার্থী। হিরণ বলেন, “অমিত শাহজি প্রচারে আসছেন এটা আমাদের কাছে গর্বের। খড়্গপুরে যে আমরা জিতছি সেটা আমার প্রচারের প্রথম দিনই মানুষ বুঝিয়ে দিল। মোদীজির নেতৃত্বে খড়্গপুরের উন্নয়নও আমরাই করব।”
এ দিন সকালে সুভাষপল্লি, শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় প্রচারে আসা নায়ক হিরণকে দেখতে বেরিয়ে এসেছিলেন বাড়ির মহিলারা। হাতে মোবাইল নিয়ে অনেকের সঙ্গেই নিজস্বী তোলেন হিরণ। এ দিন তৃণমূলের প্রার্থীও ১৭নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চালান। বিকেলে করেন সাইকেল র্যালি। সেখানেও মানুষের উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে। তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ বলেন, “বিজেপি প্রার্থী তো অভিনেতা। স্বাভাবিকভাবে মানুষ অভিনেতার সঙ্গে সেলফি তুলছে। অভিনেতাও মানুষের সঙ্গে অভিনয় করছেন।” যদিও এমন কথা শুনে প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিঁধে বিজেপি প্রার্থী বলছেন, “শহরের একজন আট হাজার টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে পাঁচবছর পুরপ্রধান ও দেড় বছর বিধায়ক থেকে কীভাবে ২কোটি টাকার বাড়ি করেছেন সেটা মানুষ জানে। তাই নিজস্বী তোলার সময় মানুষ আমার কানে কানে বলেছেন, তাঁরা সন্ত্রস্ত। দুর্নীতির জবাব এ বার তাঁরা দেবেন।”