ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তবেই ব্রিগেডে বিজয় সমাবেশের জন্য ২১ জুলাইকে বেছে নিতে পারে তৃণমূল। সেই সমাবেশকে বিজেপি-বিরোধী সর্বভারতীয় মঞ্চের চেহারা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের।
এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপির মরিয়া চেষ্টার সামনে এই ফলকে সামনে রেখে অবিজেপি দলগুলির কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষাপটে দলের বিজয় সমাবেশও সেই অভিমুখে নিয়ে যেতে চাইছেন তাঁরা। সোমবার তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘করোনা যুদ্ধ কেটে গেলে ব্রিগেডে এই সমাবেশ করা হবে। সেখানে দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের (অবিজেপি) আমন্ত্রণ জানানো হবে।’’
এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে ওই বছরের ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডেই বিরোধী সমাবেশ করেছিলেন মমতা। বিরোধী জোট তখন সে ভাবে দানা না বাঁধলেও মমতার ডাকে সাড়া দিয়েছিল সব দল।
ইতিমধ্যেই এই নির্বাচনী সাফল্যে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী অভিনন্দ জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রীকে। এ দিন মমতা জানিয়েছেন, অভিনন্দন- বার্তা এসেছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, হরিয়ানার বিরোধী দলনেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা, এনসিপি’র শরদ পওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লা এবং দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেতা রজনীকান্তের কাছ থেকে। মমতা বলেন, ‘‘সকলকেই আমি ধন্যবাদ জানিয়েছি। বলেছি, আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’’
বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে তাঁর এই নির্বাচনী সাফল্যের পরে ফের তৃণমূলনেত্রীকে ঘিরে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। সেই সূত্রেই জাতীয় স্তরে তাঁর ভূমিকা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। মমতা এ দিন বলেন, ‘‘আমি একজন স্ট্রিট ফাইটার। আমি মানুষকে সেই লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করতে পারি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপিকে হারিয়ে বাংলার মানুষ সর্বনাশের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।’’ আগামীতে দেশ কি বাঙালি প্রধানমন্ত্রী পেতে চলছে? মমতা অবশ্য বলেন, ‘‘এটা এ সব আলোচনার সময় নয়। এখন করোনা মোকাবিলাই আমাদের প্রধান কাজ। মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী হওয়া কোনও বিষয় নয়। আসল বিষয় হল মানুষ।’’
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই রাজনৈতিক উদ্যোগের শুরু করতে পারে তৃণমূল। সে ক্ষেত্রে দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ২১ জুলাইয়ের ‘শহিদ স্মরণ’ কর্মসূচিতে তৃতীয় তৃণমূল সরকারের অভিমুখও স্পষ্ট করতে পারেন মমতা।