বিজেপি-র বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের সিউড়ির ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পুরন্দরপুর গ্রামে বিজেপি-র দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার। যদিও হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বুধবার পুরন্দরপুরে গিয়েছিলেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে তৃণমূলের সমস্ত কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ধ্রুব বলেন, “ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি-র নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। খুবই নিন্দনীয় কাজ এটা। আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।” পুরন্দরপুরের তৃণমূল নেতা অশ্বিনীর নেতৃত্বে এই ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। এর পরই বিজেপি-র জেলা সভাপতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “৪৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। তার মধ্যে যদি প্রশাসন কোনও সদুত্তর না দেয় বা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অশ্বিনীকে গ্রেফতার না করে তা হলে পুরন্দরপুরের তৃণমূলের একটা কার্যালয় রাখব না। মানুষ এর জবাব দেবে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যদি তৃণমূলের কার্যালয় ভেঙে ফেলে তার জন্য দায়ী থাকবে তৃণূলের জেলা সভাপতি।” অনুব্রত মণ্ডলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানের প্রসঙ্গ তুলে ধ্রুব বলেন, “এটাই হল তৃণমূলের খেলা।” মানুষের গণতন্ত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। অত্যাচার হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে বিজেপি রুখে দাঁড়াবে বলেও জানিয়েছেন ধ্রুব।
যদিও এ ব্যাপারে তৃণমূলের ২ নম্বর ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি-র বিরুদ্ধেই। তাঁর কথায়, “এ সব বিজেপি-র অন্তর্কলহের ফল। তৃণমূলের সঙ্গে অই ঘটনার কোনও যোগ নেই। নির্বাচনের আগে নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দল ঢাকতে তৃণমূলের নাম ব্যবহার করছে। এবং তৃণমূল দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এটা ঠিক হচ্ছে না।”