আহত বিজেপি-র যুব মোর্চার সদস্য রণজিৎ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি-র যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য রণজিৎ ঘোষ ওরফে রনোর উপর ছুরি নিয়ে হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল ধূপগুড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা দাবি করেছে, এটা ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণ। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জলপাইগুড়িতে দলীয় বৈঠক সেরে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন রনো। ধূপগুড়ি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে কাছেই একটি দোকানে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় অতর্কিতে কয়েক জন মিলে তাঁর উপরে হামলা চালায়। ডান চোখের নীচে, বাঁ চোখের উপরে এবং গলায় আঘাত লেগেছে তাঁর। যখন রণজিতের উপর হামলা হচ্ছিল কয়েক হাত দূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজেপি-র কিছু কর্মী সমর্থক। রনোকে উদ্ধার করতে তাঁরা ছুটে আসেন। বাসস্ট্যান্ডে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরাও তত ক্ষণে সেখানে চলে আসেন। তাঁরাই হামলাকারীদের মধ্যে এক জনকে ধরে ফেলে ধূপগুড়ি থানায় নিয়ে যান।
অন্য দিকে, আহত রনোকে কর্মী সমর্থকরা ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তবে যন্ত্রণা বাড়ায় রনোকে জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। রনো বলেন, “আমি বাসস্ট্যান্ডের কাছে পানের দোকানের সামনে কিছু জিনিস কেনার জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। সেই সময় আচমকা তৃণমূলের ২-৩ জন দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমার ঘাড়ে এবং চোখের উপরে আঘাত লেগেছে।”
হামলা প্রসঙ্গে বিজেপি-র ধূপগুড়ি বিধানসভার আহ্বায়ক কমলেশ সিংহ রায়ের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এ কাজ করেছে। তিনি বলেন, “ধারালো ছুরির আঘাতে রনোর চোখের উপরের অংশে এবং চোখের নীচের দিকে বেশ খানিকটা জায়গা কেটে গিয়েছে। তাঁকে ধূপগুড়ি হাসপাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তৃণমূলের পায়ের নীচের মাটি হারিয়ে যাচ্ছে বলেই আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে।”
তৃণমুল যুব কংগ্রেসের ধূপগুড়ি টাউন ব্লক সভাপতি বৈদ্যনাথ কুণ্ডু বলেন, “আমাদের দল মার, দাঙ্গা পছন্দ করে না। যতটুকু আমি খবর পেয়েছি এটা তাঁদের ব্যক্তিগত ঝগড়া। মারপিট বিজেপি-র চরিত্র। শনিবারও আমাদের যুব জেলা সভাপতির উপর হামলা হয়েছে।” তবে ধূপগুড়ির ঘটনা কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয় বলেই দাবি করেছেন বৈদ্যনাথ।
অন্য দিকে, রনোর উপর হামলার বিষয়ে ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার।