উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। ফাইল চিত্র।
রাজ্যে এসে এই প্রথম জেলায় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন দেশের উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।
কমিশন সূত্রের খবর, বুধবার রাতে শহরে এসে শুক্রবার বিকেলে দিল্লি ফেরা পর্যন্ত তিনি নিজে ভোটকেন্দ্রের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, শুধু ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনই নয়, প্রশাসনের সর্বস্তরের অফিসার-কর্তাদের সঙ্গে ফের বৈঠক করবেন সুদীপ। জানুয়ারি মাসে ফুল বেঞ্চ এসে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়ে যায়। সেই নির্দেশ কতটা কার্যকর করা হয়েছে, এ বার সুদীপ এসে তা খতিয়ে দেখবেন বলেও কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে।
কমিশন সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের অফিসার এবং বাহিনী-কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন উপ নির্বাচন কমিশনার। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, কমিশনার এবং ডিভিশনাল কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সেই বৈঠক চলবে দীর্ঘক্ষণ। শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক সেরে স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং আবগারি কমিশনারের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন সুদীপ জৈন। এই সব সেরে কলকাতা লাগোয়া জেলাগুলিতে গিয়ে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন উপ নির্বাচন কমিশনার। ওই দিনই দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা তাঁর।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকেরা জানাচ্ছেন, ভোট প্রস্তুতি থেকে আইনশৃঙ্খলা রিপোর্ট — সব কিছুই পুনরায় খতিয়ে দেখতে আসছেন সুদীপ। ভোট ঘোষণার আগে কমিশনের শেষ মুহূর্তের পরামর্শ এবং চূড়ান্ত বার্তাও দিয়ে যাবেন।
এ দিকে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভোট প্রস্তুতি-সহ যাবতীয় করণীয় ব্যাখ্যা দেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের কর্তারা। জানা গিয়েছে, এ বারের কোভিড পরিস্থিতিতে প্রত্যেক ভোটারের থার্মাল স্ক্রিনিং করানো হবে। কারও দেহের তাপমাত্রা ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলে সংশ্লিষ্টকে নির্দিষ্ট কুপন দেওয়া হবে। তা দেখিয়ে তিনি বিকেল পাঁচটা থেকে ছ’টার মধ্যে ভোট দিতে পারবেন। এ ছাড়াও মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে সর্বাধিক দুজনকে নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের অফিসে ঢুকতে পারবেন প্রার্থী। আগে এই সংখ্যা ছিল চার। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বহু গাড়ির কনভয় নিয়েও যেতে পারবেন না প্রার্থী। রিটার্নিং অফিসারের অফিসের দু’শো মিটারের মধ্যে সর্বাধিক দু’টি গাড়ি ঢুকতে পারবে। অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। তবে তার প্রতিলিপি-সহ নথি কিছুদিনের মধ্যে নিজে গিয়ে রিটার্নিং অফিসারকে দিতে হবে প্রার্থীকে।