ফাইল চিত্র।
দরজায় তৃতীয় দফার ভোট। আর তরজায় টাকা।
শনিবার তা নিয়েই হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পরস্পরের দিকে আঙুল তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে ভোটে জিততে বিজেপি প্রচুর অর্থ খরচ করছে বলে আগেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূলনেত্রী। এ দিন রায়দীঘি ও কুলপির সভায় তা আরও নির্দিষ্ট করে এই চাপানউতোরের সূচনা করেন তিনিই। মমতা বলেন, ‘‘কোটি কোটি টাকা খরচ করছে বিজেপি। দিল্লি থেকে ১০০ প্লেন, ১ হাজার হেলিকপ্টার নিয়ে এসেছে। ওরা ( বিজেপি) ক্যাশ দিলে খেয়ে নেবেন। আর ভোটের খাতায় খরচ করে দিন।’’ মমতার আরও অভিযোগ, ‘‘দেখলাম, একটি ছেলে বলছে আমার বউকে ৫০০ টাকা দিয়েছে। আমাকে ২০০ টাকা দিয়েছে। তাই মিছিলে গিয়েছি। আমি বলব, তার তো গলায় দড়ি দেওয়া উচিত।’’
এ দিন একাধিক সভায় মমতাকেই নিশানা করেছেন মোদীও। হুগলি ও সোনারপুরের দুটি সভাতেই তিনি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও করেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগ টেনে হুগলির সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপির সভায় ভিড় দেখে মমতা অভিযোগ করছেন, টাকা দিয়ে মানুষকে সভায় আনা হচ্ছে।’’ তারপরই সভায় উপস্থিত দলের
কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘এই গরমেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনারা এই সভায় টাকার বিনিময়ে এসেছেন? আপনাদের আত্মসম্মান টাকায় বিক্রি হয়?’’ এর পরেই যোগ করেন, ‘‘এঁরা টাকা নিয়ে আসেন না। আমাকে অপমান করুন, কিন্তু বাংলার মানুষকে, মহিলা, ভাই-বোনেদের অপমান করবেন না। এঁরা সেই লোক যাঁরা দশ বছর আগে আপনাকে মাথায় তুলে রেখেছিলেন। আর আজ এদের গালি দিচ্ছেন?’’
এ দিন দুটি সভাতেই চেনা সুরেই তৃণমূলেই আমপান- তরজা এসেছেন তাঁদের মুখে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা না কি চোর, ওরা সাধু। আমপানে এক পয়সাও দাওনি। দাওনি যখন তখন গেট আউট।’’ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাটমানি ছাড়াই পাওয়া যাবে সরকারি প্রকল্প। (সহ প্রতিবেদন: দিলীপ নস্কর)