এই পোস্টেই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দলবিরোধী পোস্ট করে ফের বিতর্কে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য নুরুল হাসান। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, আগেও এই ধরনের পোস্ট করায় সতর্ক করা হয়েছিল তাঁকে। ভোটের মুখে ফের এই পোস্টে ক্ষুব্ধ দলের নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শুক্রবার পোস্টের পরে বোঝা যাচ্ছে জেলা পরিষদের ওই সদস্য নিজেকে বদলাননি। দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ যদিও বলেন, “িবষয়টি জানি না। তবে কেউ দলবিরোধী কার্যকলাপ বা মিথ্যা অভিযোগ করলে নজরে থাকবেন।’’
নুরুল হাসানের দাবি, “শীর্ষ নেতৃত্ব বলার পরেও ব্লকের নেতার উদাসীন। সংখ্যালঘু প্রভাবিত ব্লকে জেলা পরিষদের সদস্য আমি। তার পরেও বিধানসভা নির্বাচনের কমিটিতে ঠাঁই হয়নি। আমার অভিব্যক্তি সবাইকে জানাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছি।’’
ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘দল ছাড়লে আমাকে গদ্দার বা মির্জাফর বলা হবে কি?’ এর পরে তাঁকে কী ভাবে মিথ্যা অভিযোগে বারবার ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তার বিবরণ দিয়েছেন ওই নেতা। ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাঁকে জেলা পরিষদের প্রার্থী হওয়া আটকাতে ‘চক্রান্ত’ করা হয়েছিল, বলেও দাবি করেছেন। এর আগে দলের ছ’জন প্রার্থী হারবেন বলে নুরুল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। পোস্টে তাঁর দাবি, ‘সিপিএম আমলে যত না মামলা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি অত্যাচারিত হয়েছি আমাদের আমলে। মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। এই দলটার জন্য ঘাম, রক্ত দিয়েছি। চোখের সামনে দেখছি, যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা দলটাকে নিয়ে ব্যবসা করছেন।’ তাঁর আরও দাবি, নির্বাচন কমিটিতে তাঁকে রাখা হয়নি, অথচ নিজের বুথে জিততে না পারা নেতাদের রাখা হয়েছে।
কেন তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তা বলতে চাননি বর্ধমান উত্তরের তৃণমূলের প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক (বর্ধমান উত্তর) নিশীথ মালিক। তিনি শুধু বলেন, “প্রচার নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। কে, কী লিখেছে দেখিনি। তবে ও সব লেখা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই।’’ দলের রাজ্যের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, “ভোটের আগে এমন মন্তব্য করে পোস্ট করলে দল বিষয়টি নিয়ে ভাববে।’’ বিজেপির জেলা কার্যকরী সমিতির সদস্য কল্লোল নন্দনের দাবি, “তৃণমূলের উপরে দলের নেতাদেরই বিশ্বাস, ভরসা নেই। সে জন্যই এমন মন্তব্য।’’