West Bengal Assembly Election 2021

Bengal Polls: গুরুংয়ের সমর্থনই কি হারের কারণ, প্রশ্ন

প্রায় সাড়ে তিন বছর পাহাড় ছাড়া গুরুং মাস কয়েক আগে আচমকাই প্রকাশ্যে আসেন।

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২১ ০৬:৩২
Share:

ফাইল চিত্র।

বিমল গুরুংয়ের সমর্থনই কাল হল দলের? দলের পাঁচ আসনের সব ক’টিতে হার, বিশেষত কালচিনি ও মাদারিহাটে পরাজয়ের কারণ খুঁজতে নেমে অনেক কিছুর সঙ্গে এমনটাও মনে করছেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

Advertisement

প্রায় সাড়ে তিন বছর পাহাড় ছাড়া গুরুং মাস কয়েক আগে আচমকাই প্রকাশ্যে আসেন। তিনি বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা বলেন। এতে জেলার তৃণমূল নেতাদের একটা বড় অংশ উচ্ছ্বসিত হন। তাঁদের যুক্তি ছিল, জেলায় মাদারিহাট ও কালচিনি ব্লকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ভালই প্রভাব রয়েছে। যার জেরে ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে মাদারিহাটে জয় পায় বিজেপি। কালচিনিতেও ভাল টক্কর দেয় বিজেপি। এই অবস্থায় গুরুংয়ের সমর্থনে এ বার মাদারিহাট ও কালচিনিতে ভাল ফলের আশা করেন তৃণমূল নেতারা। কুমারগ্রামেও মোর্চার প্রভাব থাকায়, ওই আসন নিয়েও আশা ছিল তৃণমূল নেতৃত্বের। ভোটের আগে মাদারিহাট ও কালচিনিতে ব্যাপক হারে প্রচার করতে দেখা যায় গুরুংকে।

কিন্তু ২মে ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় আলিপুরদুয়ারে পাঁচটি আসনেই পরাজিত তৃণমূল। তাই হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে গুরুংয়ের দলকে সমর্থনই ‘কাল’ বলে মনে করছেন তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। ওই নেতাদের কথায়, গোর্খাল্যান্ডের দাবিদার বিমল গুরুং তৃণমূলকে সমর্থন করায় সাধারণের অনেকেই দল থেকে মুখ ফেরান। তেমনি, এই সরকারের আমলে তাঁদের অনেকের প্রাণ যাওয়া সত্বেও গুরুং তৃণমূলকে সমর্থন করেছে দেখে মোর্চা সমর্থকেরাও মুখ ফেরান।

Advertisement

তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “বুথের ফল বিশ্লেষণ না করে হারের কারণ নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়। বুথভিত্তিক ফল পর্যালোচনায় হারের কারণ যা উঠে আসবে, তা দলনেত্রীকে জানাবো।” তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, জেলার পাঁচ আসনে হারের কারণ নিয়ে শীঘ্রই রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠানো হবে। এই বিষয়টিও উল্লেখ থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement