ওদলাবাড়িতে জনসভায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
শীতলখুচি গুলি-কাণ্ডকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধীর দাবি-পাল্টা দাবির পালা অব্যাহত। এ বার ওই ঘটনাকে পুরোপুরি পরিকল্পনা করে ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের মতে, ছ’মাস আগেই শীতলখুচির ছক কষেছিল বিজেপি। সোমবার ওদলাবাড়িতে এক জনসভায় এ ভাবেই বিজেপি-কে আক্রমণ করেন তিনি।
সোমবারের জনসভায় বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু এবং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অডিও ক্লিপিংস শুনিয়ে ভাষণ শুরু করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “ছয় মাস আগেই বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, ‘সিআরপিএফকে বলেছি বেশি বাড়াবাড়ি করলে বুক লক্ষ্য করে গুলি করুন’। অন্য দিকে, শীতলখুচির ঘটনার পর বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে শীতলখুচির ঘটনা আরও হবে’। এই দু’টি ঘটনাই ঈঙ্গিত দেয় শীতলখুচির ঘটনা পরিকল্পিত।”
সোমবার মাল বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বুলু চিকবরাইকের সমর্থনে দুপুর ১টা নাগাদ ময়নাগুড়ি থেকে হেলিকপ্টারে ওদলাবাড়িতে এসে পৌঁছন অভিষেক। ওদলাবাড়ি বিধান পল্লি ফুটবল মাঠে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী, ব্লক সভাপতি তমাল ঘোষ, বুলু চিকবরাইক, মাল পুরসভার প্রশাসক স্বপন সাহা, জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকে। হেলিকপ্টার থেকে নেমে সোজা মঞ্চে এসে ওঠেন অভিষেক।
ওই জনসভায় শুরুতেই শীতলখুচি গুলি-কাণ্ডে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অভিষেক। এর পর নিজের ভাষণে লাগাতার বিজেপি-কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। অভিষেক বলেন, “বিজেপি নেতারা জুলুমবাজ, বহিরাগত। গত বছর করোনা পরিস্থিতিতেও তাঁদের এ রাজ্যে দেখা যায়নি। নির্বাচনের সময় এসে ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন। গত ৭ বছরে যা বলেছিল, তা পালন করেনি। মিথ্যা কথা বলে চলেছেন। ওরা ১০ শতাংশ মানুষের জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প করেছে আর মমতা বন্দোপাধ্যায় এই বাংলার প্রতিটি ঘরে বিনা পয়সায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌঁছে দিয়েছে। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী-সহ নানা প্রকল্প মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে। আর বিজেপি একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে।”
অভিষেকের দাবি, আড়াইশো কেন্দ্রে জয়ী হয়ে সরকার গড়বে তৃণমূলই। তিনি বলেন, “আগামী ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশ হবে। আমরা ২৫০ আসন নিয়ে সরকার গড়ব। মুখ্যমন্ত্রী যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার প্রতিটি পালন করা হবে। আমরা যা বলি, তা-ই করি। বিজেপি শুধু ভাষণ দিয়ে যায়।”