বিজেপির পতাকা হাতে ছাত্র নেতারা। —নিজস্ব চিত্র।
নির্বাচনের আগে ফের তৃণমূল ছাত্র পরিষদে ভাঙ্গন। শনিবার চাঁচলের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রায় ৩০ জন ছাত্রনেতা দল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিলেন। যদিও এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
শনিবার চাঁচলের বিজেপি সংসদ কার্যালয়ে এই যোগদান কর্মসূচি হয়। চাঁচল বিধানসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী দীপঙ্কর রামের উপস্থিতিতে ওই ছাত্রনেতারা বিজেপি-তে যোগদান করেন। গেরুয়া শিবিরে নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপি-র মালদহ জেলার সম্পাদক তথা ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দীপঙ্কর। যদিও এই যোগদান কর্মসূচিকে ভুয়ো বলে দাবি করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সম্পাদক বাবু সরকার।
কিছু দিন আগেই রাজ্য বিজেপি-র দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন চাঁচল ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। এর পরেই শিবির বদলান তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের বেশ কয়েক জন ছাত্রনেতা। চাঁচল কেন্দ্রে বিজেপি-র প্রার্থী হিসাবে দীপঙ্করের নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই তৃণমূলে ফের ভাঙণ ধরল। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্লক সম্পাদক বুবাই সাহার দাবি, “এই আসনে প্রার্থী হিসাবে ভূমিপুত্র না পেয়ে আমরা বিজেপি-তে যোগদান করলাম। তৃণমূলে আমাদের মর্যাদা দেওয়া হত না। সে কারণেই দল ছেড়ে বিজেপি-তে আসা। চাঁচল বিধানসভায় বিজেপি-র প্রার্থী দীপঙ্কর ভূমিপুত্র। তাই ভূমিপুত্রের হাত ধরেই আমরা বিজেপি-তে এসেছি।
যদিও এই যোগদান কর্মসূচিকে উড়িয়ে দিয়ে মালদহ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর বাবলা সরকার বলেন, “তৃণমূলের বহু বিধায়ক-মন্ত্রী রয়েছেন, যাঁরা এ বার বিধানসভার টিকিট পাননি। রিপোর্ট কার্ড অনুযায়ী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। অনেকেই টিকিট পাওয়ার লোভে দল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে।”
বুবাইয়ের আরও দাবি, “যারা ছেড়ে গিয়েছে, তাদের ভোটদান করার অধিকারটুকুও নেই। তাই আমরা এগুলো গুরুত্ব দিই না। এ রকম অনেক যাবে, আসবে। ইতিমধ্যেই বিজেপি-র ডঙ্কা বেজে গিয়েছে। খেলাটা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে। তাই খেলব আমরা।”
তবে এই দলবদল নিয়ে দীপঙ্করের পাল্টা দাবি, এতে জেলা তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ দূর্বল হয়ে পড়ল। তিনি বলেন, “চাঁচল কলেজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রায় ৩০ জন সদস্য আমাদের ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করল। তাতে চাঁচল কলেজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ভিত নড়বড় হয়ে গিয়েছে। ভবিষ্যতে আরও তৃণমূল কর্মী বিজেপি-তে যোগদান করবে।”