আলিপুর থানার সামনে রুদ্রনীল।
প্রচারে গিয়ে ‘আক্রান্ত’ ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। প্রতিবাদে আলিপুর থানায় গিয়ে বিজেপি কর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তিনি।
ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল শুক্রবার ভবানীপুর কেন্দ্রের গোপাল নগর এলাকায় ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করতে এসেছিলেন। সেখানেই তাঁকে তৃণমূলের গুণ্ডারা ‘বাধা’ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন রুদ্র। ওই গুণ্ডাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কু-সন্তান বলে মন্তব্য করে রুদ্র বলেন, ‘‘এঁদের দৌরাত্ম্যেই নিজের কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচার করতে পারছেনি না। আর সব জেনেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।’’ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তারা জানিয়েছে, বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে তাঁদের কোন আপত্তি নেই। তাঁরা প্রচার করতেই পারেন। আসলে বিজেপি-র কর্মীরাই তাঁদের প্রার্থীকে নিয়ে অসন্তুষ্ট। স্থানীয় এলাকা থেকে প্রার্থী বেছে না নেওয়ায় বিজেপি-ই গন্ডগোল করছে। আর প্রার্থী তৃণমূলকে দোষারোপ করছেন। প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে অবশ্য পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা রুদ্রনীলের আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন।
শুক্রবার আলিপুর থানায় অভিযোগ জানান রুদ্র। দলের সদস্যদের নিয়ে থানার সামনেই অবস্থান বিক্ষোভ করেন তিনি। সাংবাদিকদের রুদ্র এমনও বলেন, ‘‘তৃণমূলের ওই গুণ্ডাদের আধঘণ্টার মধ্যে যদি থানায় হাজির না করা হয়, তবে এলাকায় অচলবস্থা তৈরি করব আমরা। এবং তার জন্য দায়ী হবে তৃণমূল আর তার ওই গুণ্ডারাই।’’
প্রচারে মহিলারাও রাস্তায় নেমে তাঁকে কু-কথা বলছেন, বলে অভিযোগ জানিয়েছেন রুদ্র। তিনি বলেন, ‘‘ভবানীভবনের কাছাকাছি এলাকায়, থানার চৌহদ্দির মধ্যে কী করে এই গুণ্ডামি চলে? আসলে ভবানীপুরের মানুষজন যে আমাদের ফুল মালা দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে, বাড়ি বাড়ি ডেকে নিয়ে যাচ্ছে, এটাই মানতে পারছে না তৃণমূল।’’
রুদ্রনীলের আরও অভিযোগ, প্রচার ছেড়ে তাঁকে এখন থানায় বসে থাকতে হচ্ছে। প্রশাসন যদি সাহায্য করত, তবে নিশ্চিন্তে ভোটের প্রচার করতে পারতেন তিনি। জবাবে পুলিশ জানিয়েছে, তারা রুদ্রনীলের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।