—ফাইল চিত্র।
কোচবিহারের শীতলখুচির ১২৬ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। এখনও সরকারি নির্দেশিকা জারি না-হলেও সূত্রের খবর, ১৭ এপ্রিল, শনিবার ওই বুথে পুনর্নির্বাচন হতে পারে।
১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটে মাথাভাঙা থানা এলাকায় শীতলখুচির ১২৬ নম্বর বুথে সিআইএসএফের গুলিতে চার জন গ্রামবাসী নিহত হন। আহত হন অনেকে। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ওই বুথে ভোট স্থগিত করে দেয় কমিশন। সেখানে ভোটগ্রহণ সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত হবে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) দফতর সেই বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানাতে পারেনি। তবে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্তই যে নেওয়া হতে চলেছে, সেই ব্যাপারে দফতরের কর্তাদের অনেকেই একমত। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ওই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল সরাসরি উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। কমিশন আত্মরক্ষায় গুলি চালানোর কথা বললেও সিআইএসএফ-কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক শিবির সূত্রের খবর, কমিশন যখন মনে করছে যে শীতলখুচির ঘটনার নেপথ্যে উস্কানিমূলক মন্তব্য অনুঘটকের কাজ করেছে, তখন তারকা প্রচারক তথা বিভিন্ন দলের নেতানেত্রীদের উপরে বাড়তি নজর রাখবেন কমিশন-কর্তারা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মন্তব্যের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে কমিশন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, প্রার্থী রাহুল সিংহের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। ফলে বিভিন্ন দলের অন্যদের বিভিন্ন মন্তব্যও কমিশনের আতসকাচের তলায় থাকবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।
ভোটকর্মী ঐক্য মঞ্চের প্রতিনিধিরাও এ দিন সিইও-র সঙ্গে দেখা করে দাবি জানান, উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য অন্য রাজনৈতিক নেতাদেরও ‘সেন্সর’ করতে হবে। শীতলখুচিতে পোলিং অফিসারদের উপরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে কমিশনকে। ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও তুলেছে ঐক্য মঞ্চ।