প্রতীকী ছবি।
বেলা দশটায় শিলিগুড়ি কলেজে ভোটসামগ্রী নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ১০৯ নম্বর বুথের ভোটকর্মীরা। কিন্তু সামগ্রী নিয়ে বের হন বেলা ১২টার পর। কেবল ওই কেন্দ্র নয়, শুক্রবার দার্জিলিং জেলার সমতলের তিন আসনেরই ডিসিআরসি কলেজ চত্বরে সামগ্রী বণ্টনের সময় ভিড় অনিয়ন্ত্রিত হয়ে ছড়াল সংক্রমণের আশঙ্কা। একই সঙ্গে ডিসিআরসির কর্মযজ্ঞ ঘিরে কলেজের আশপাশের চা, খাবারের দোকানগুলিতেও ভিড় ছিল প্রচুর। দূরত্ব বিধি কোথাও মানা হয়নি। কলেজ চত্বরে অনেকেই মাস্ক ছাড়া ঘোরেন বলে অভিযোগ। অনেক ভোটকর্মীরই করোনার টিকা নেওয়া হয়নি বলেও জানা গিয়েছে। পাহাড়েও এমনই ভিড় ছিল বলে সূত্রের দাবি।
লাইনে দু’ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার সময়ই ভিড় বাড়ছিল। বিধানসভাভিত্তিক শিবিরগুলির সামনে যেমন ঠাসা ভিড় ছিল, তেমনই পুলিশের ছাউনিগুলির সামনেও ভিড় ছিল। প্রশাসন দাবি করে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কিন্তু ভোট সামগ্রী দেওয়া শুরু না হলে সেই নিয়ন্ত্রণ ভেঙে পড়ে। পানীয় জলের অভাব নিয়েও সরব হন অনেকেই। শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক প্রিয়দর্শিনী এস ছিলেন ভোটকর্মীদের বুথে পাঠানোর নজরদারিতে। তিনি জানান, ভিড় ঠেকানোরও চেষ্টা করা হয়। তাঁর কথায়, ‘‘মাইকে ঘোষণা হয়েছে। সামগ্রী যাতে সকলে দ্রুত পায় তার দিকেও নজর দিয়েছিলাম।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, ভোটকর্মীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়া পর্যন্ত তাঁদের হাতে ভোট সামগ্রী তুলে দেওয়া যায়নি। তাতেই ভিড় হয়। মাইকে ঘোষণার পরেও অনেকে মাস্ক পরছিলেন না বলে অভিযোগ। তবে তা মানেননি প্রশাসনের কর্তারা। এদিন কলেজে অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৫০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। কারও উপসর্গ ছিল না বলেই জানিয়েছেন কর্তারা। প্রাথমিকভাবে কমিশনের দেওয়া স্বাস্থ্যকিটের মধ্যে ওষুধপত্রের সঙ্গে মাস্ক, স্যানিটাইজার বা ফেস শিল্ড ছিল না। নির্বাচন আধিকারিকরা জানান, সেগুলি অবশ্য বুথে বুথে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এ দিন দার্জিলিং সরকারি কলেজ এবং কালিম্পংয়ে হাসপাতালের কাছে একটি স্কুলে ডিসিআরসি কেন্দ্র হয়েছে। ভিড় বেড়েছে সেই দু’টি কেন্দ্রেও।