বুথে রওনা হওয়ার আগে প্রস্তুতির পালা ভোটকর্মীদের। নিজস্ব চিত্র।
রাত পোহালেই চতুর্থ দফার ভোট। শনিবার এই দফায় হুগলির ১০টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। ২৫,৯৪,২১২ জন ভোটার ৬৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।
শুক্রবার দুপুর থেকেই ইভিএম, ভিভিপ্যাট-সহ ভোটের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ভোটকর্মিরা বুথে বুথে রওনা দিতে শুরু করেছেন। শ্রীরামপুর কলেজ, হুগলি এইচআইটি, ব্যান্ডেল সার্ভে কলেজ-সহ বিভিন্ন ডিসি (ডিসট্রিবিউশন সেন্টার) থেকে ভোটকর্মিরা রওনা দিচ্ছেন ভোটকেন্দ্রে। হুগলির জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক দীপাপ প্রিয়া বলেন, ‘‘ভোটের প্রস্তুতি চুড়ান্ত। চতুর্থ দফায় ভোট হয়ে যাওয়া প্রতিটি বুথে ভোটকর্মী এবং নিরাপত্তাবাহিনী পাঠানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।’’
জেলার নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রের খবর, ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট নেওয়ার জন্য মোট ৩,৫৮৬ টি বুথ করা হয়েছে। তার মধ্যে মহিলা পরিচালিত বুথ ৬২২টি। ৬৪৩টি বুথকে ‘স্পর্শকাতর’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গত ৬ এপ্রিল তৃতীয় দফার ভোটে হুগলির গ্রামাঞ্চলের কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। আক্রান্ত হয়েছিলেন দুই প্রার্থী। তাই চতুর্থ দফার ভোটে যাতে কোনও রকম অশান্তি না-হয়, তার জন্য সচেষ্ট কমিশন। নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে ২৬২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ৬,৫৮১ জন রাজ্য পুলিশকর্মী ভোটের কাজে নিযুক্ত থাকছেন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১,২৪৬ জন অফিসার।
শুক্রবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল চলছে বিভিন্ন জায়গায়। রাত পোহালেই ভোট তাই ১০টি বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে প্রশাসনিক তৎপরতা আর ব্যস্ততার ছবি। প্রসঙ্গত, শনিবার চতুর্থ দফায় হুগলি জেলার শ্রীরামপুর, চুঁচুড়া এবং চন্দননগর মহকুমার উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, চাঁপদানি, সিঙ্গুর, চন্দননগর, চুঁচুড়া, বলাগড়, পান্ডুয়া, সপ্তগ্রাম এবং চণ্ডীতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে।