নিজস্ব চিত্র
ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত হাওড়ায়। ডোমজুড় এবং চ্যাটার্জি হাটের পর এ বার উত্তপ্ত হাওড়ার শালিমার এলাকা। বৃহস্পতিবার তৃণমূল এবং জনতা দল ইউনাইটেড কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকায়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ শুক্রবার দু’পক্ষের ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের শুক্রবার হাওড়া আদালতে তোলা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে মারধর, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা করেছে শিবপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার শালিমারের কয়লা ডিপো এলাকায় তৃণমূল এবং জেডিইউ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জেডিইউ কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় তাঁদের উপর হামলা চালায়। লাঠি, লোহার রড এবং ছুরি দিয়ে তাঁদের মারে। আহত হন তাঁদের পাঁচ কর্মী। এ বারের ভোটে তাঁরা জেডিইউ দলের হয়ে কাজ করার জন্যেই হামলা, অভিযোগ তাঁদের। আহত এক জেডিইউ কর্মী সত্যেন্দ্র রায়ের অভিযোগ, তাঁদের হুমকি দেওয়ার প্রেক্ষিতে গত ১৩ এপ্রিল তারা শিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদের চাপ দেওয়া হয়। জেডিইউ কর্মীরা অভিযোগ তুলতে অস্বীকার করলে তাঁদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল। তাঁরা এখন আতঙ্কে রয়েছেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সন্তোষ সিংহ জানান, তাঁদের কর্মীদের ওপর প্রথমে হামলা চালান জেডইউ কর্মীরা। তাঁদেরও ৩ কর্মী আহত হন। যদিও জেডইউ প্রার্থী শ্রীকান্ত ঘোষ বলেন ‘‘আমার বিরুদ্ধে যাবতীয় ওঠা অভিযোগ মিথ্যে। তৃণমূল আসলে বুঝে গিয়েছে, দক্ষিণ হাওড়ায় তারা হারতে চলেছে। তাই ইচ্ছাকৃত ভাবে হামলা চালাচ্ছে।’’
শুক্রবার দুপুরেও দেখা যায়, ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে লাঠি, ইট এবং তরোয়াল। দু’পক্ষই শিবপুর থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ দু’পক্ষের মোট চার জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের শুক্রবার হাওড়া আদালতে তোলা হয়। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।