নিজস্ব চিত্র
ডায়মন্ড হারবারের বিধায়কের উপর হামলার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে রবিবার ফলতা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। একই দিনে কংগ্রেসের প্রচারগাড়ি ভাঙারও অভিযোগ উঠেছে ফলতায়। দুটি ঘটনাতেই অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়ে গুরুতর জখম হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী বিধান পাড়ুই। রাস্তায় ফেলে তাঁকে লাগাতার কিল, চড় ও লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ইতিমধ্যেই বিষয়টি ফলতা থানায় জানানোর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বেলায় মল্লিকপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বারাস্তা-পাইকান এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী বিধান পাড়ুই। অভিযোগ, আচমকা বেশ কিছু দুষ্কৃতী লাঠি ও বাঁশ নিয়ে হামলা চালায়। প্রার্থীর সঙ্গে থাকা কর্মীদেরও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রার্থীকে রাস্তায় ফেলে লাগাতার লাথি, চড় চলতে থাকে। মারধরের ফলে জখম হন তিনি। তাঁর বুক, পিঠ ও পেটে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে দাবি করা হয়। জখম হন ৫ বিজেপি কর্মীও। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এ দিন হামলা চালায়। পরে প্রার্থীর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে উদ্ধার করে ফলতা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে তাঁকে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে প্রার্থী ও কর্মীদের উপর রবিবার হামলা চালিয়েছে। ইতিমধ্যেই ফলতা থানায় অভিযোগ করেছে বিজেপি। জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনকেও।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিজেপি প্রার্থী বিধান পাড়ুই বলেন, ‘‘ফলতার যুব তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গীর খানের অনুগামীরাই আমার উপর হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল চাইছে মারধর করে বিরোধী কন্ঠস্বর বন্ধ করে রাখতে। কিন্তু প্রচারে গিয়ে মানুষের সমর্থন দেখে বুঝেছি তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের মানুষ মেনে নিতে পারছে না। আমার উপর হামলা চালানোর কথা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আশা করি তারাই যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’’
অন্য দিকে রবিবার, স্থানীয় বেলসিনহা-২ অঞলের জোড়া বটতলা এবং গোপালপুরে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর প্রচার গাড়ি ভেঙে ফেলার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গাড়ি ও টোটো ভেঙে রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রচার গাড়িতে থাকা কংগ্রেস কর্মীদেরকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কংগ্রেস প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, ‘‘মাইকিং করে এলাকায় প্রচার চলছিল। কিন্তু তৃণমূলের লোকজন আচমকা হামলা চালায়। ফলতায় আমরা একেবারেই প্রচার চালাতে পারছি না। নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। দেখা যাক কি হয়।’’ যদিও দুটি অভিযোগই অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।