BJP

Bengal Election: করোনা কেড়েছে ভোট প্রচারের শেষ রবির তাপ, বাংলার পরম্পরা ‘মিস’ করছে সব দলেই

ভোটের আগে শেষ রবিবার। অষ্টম দফার জন্য প্রচারের জন্য হাতে সোমবার দিনটা থাকলেও রবিবারের ভোট-প্রচার মানে আলাদা উত্তাপ। কিন্তু এ বার রবি আর সোমে কোনও ফারাক নেই। করোনা পরিস্থিতিতে ‘ছেঁড়া ছাতা’ আর ‘রাজছত্র’ যেন একাকার হয়ে গিয়েছে। শেষ রবি কার্যত জৌলুসহীন। আর সেটাই মিস করছেন সিপিএমের প্রবীন নেতা রবীন দেব থেকে তৃণমূলের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বেশ কয়েকটি নির্বাচন দেখা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও উৎসাহ হারানোর আক্ষেপ। লোকসভা থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচন— সব ভোটেই প্রচারের শেষ রবিবার মানে অন্য জৌলুস দেখতে অভ্যস্ত বাংলা। এর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে পুজোর আগে শেষ রবিবারের সঙ্গে। গোটা বাংলাই ভোটের প্রচার নিয়ে বরাবর শেষ ছুটির দিনটায় গড়িয়াহাট, হাতিবাগান বাজারের ব্যস্ততা চেনে। কিন্তু এ বার রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অন্য ছবি। ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১ ০৯:৩৬
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

ভোটের আগে শেষ রবিবার। অষ্টম দফার জন্য প্রচারের জন্য হাতে সোমবার দিনটা থাকলেও রবিবারের ভোট-প্রচার মানে আলাদা উত্তাপ। কিন্তু এ বার রবি আর সোমে কোনও ফারাক নেই। করোনা পরিস্থিতিতে ‘ছেঁড়া ছাতা’ আর ‘রাজছত্র’ যেন একাকার হয়ে গিয়েছে। শেষ রবি কার্যত জৌলুসহীন।

Advertisement

আর সেটাই মিস করছেন সিপিএমের প্রবীন নেতা রবীন দেব থেকে তৃণমূলের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বেশ কয়েকটি নির্বাচন দেখা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও উৎসাহ হারানোর আক্ষেপ।

লোকসভা থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচন— সব ভোটেই প্রচারের শেষ রবিবার মানে অন্য জৌলুস দেখতে অভ্যস্ত বাংলা। এর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে পুজোর আগে শেষ রবিবারের সঙ্গে। গোটা বাংলাই ভোটের প্রচার নিয়ে বরাবর শেষ ছুটির দিনটায় গড়িয়াহাট, হাতিবাগান বাজারের ব্যস্ততা চেনে। কিন্তু এ বার রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অন্য ছবি। ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হবে। সন্ধ্যা ৭টার পরে প্রচার বন্ধ। যে কোনও রকমের মিছিল এবং বড় সভায় নিষেধাজ্ঞা। ছোট সভা নিয়েও বড় কড়াকড়ি।

Advertisement

কিন্তু প্রচারের শেষ রবিবারের চেনা ছবি মানে অলিগলিতে মিছিল। তারকাদের শেষবেলার রোড-শো। মাইকে মাইকে ছয়লাপ হয়ে থাকা সমাবেশ। ‘‘সে এক কাণ্ড হত বটে,’’— বললেন প্রবীণ সিপিএম নেতা রবীন দেব। তাঁর কথায়, ‘‘এখন তো দফায় দফায় ভোট। আগে শেষ দিনের প্রচারে গোটা রাজ্যে একটা উত্তাপ তৈরি হত। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চলত প্রচার। সেটা ইদানীং কমেছে। তবে এ বারের পরিস্থিতি একেবারেই অন্য। করোনার জন্য সতর্ক তো থাকতেই হবে।’’

ভোটকে উৎসব মনে করা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘শেষ রবিবারের আমেজটাই নেই এ বার। দুর্গাপুজোর চতুর্থীর রাতে প্যান্ডেল শেষ করা থেকে প্রতিমা আনার মতো উচ্ছ্বাস থাকত। সঙ্গে সময়ের মধ্যে প্রচার শেষ করার উৎকণ্ঠা। খুবই মিস করছি এ বার।’’

তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ডোমজুড়ের প্রার্থী রাজীব বললেন, ‘‘অনেক নির্বাচন লড়েছি এবং দেখেছি। শেষ রবিবারের আসল যেটা ছিল সবার ছুটি। তাই সবাই মিলে সবার কাছে পৌঁছতে হবে। এ বার পরিস্থিতিটাই আলাদা। মেনে নিতেই হবে। কারণ, মানুষ না থাকলে গণতন্ত্রের এই উৎসবও তো থাকবে না।’’

এ বার এলো না সেই উৎসবের আবহ ও উত্তাপ। গত শারদীয়াও এ ভাবেই ‘মিস’ করেছে বাংলা। তবে প্রবীণ রবীন, সুব্রত থেকে তুলনায় নবীন রাজীব সকলেই চাইছেন, এর পরে যে নির্বাচন আসবে তার আগেই পৃথিবী সুস্থ হয়ে উঠবে। আবার ফিরবে প্রচারে শেষ রবির তাপ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement