তল্লাশিতে খোদ জেলাশাসক।
পঞ্চম দফা ভোটের দিন ‘বহিরাগত’ রুখতে কড়া নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশে বুধবার রাতে নিজেই তল্লাশিতে নামলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপার।
বুধবার রাতে শহরের দুটি অভিজাত হোটেলে তল্লাশিতে গিয়েছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারার নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি বড় দল। হোটেলের রেজিস্ট্রার খাতা পরীক্ষা করে প্রতিটি ঘরের কড়া নাড়েন দলটি। ঘরে যাঁরা ছিলেন তাঁদের ব্যাগে তল্লাশি চালানো হয়। কেন এসেছেন, কতদিন থাকবেন জানতে চাওয়া হয় অতিথিদের কাছে। পরিচয়পত্র পরীক্ষাও করা হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজনের কাছে যথাযথ পরিচয়পত্র ছিল না। তাঁদের দ্রুত হোটেল এবং জেলার ভৌগোলিক সীমা ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে।
চতুর্থ দফা ভোটের পর থেকেই সুষ্ঠু ভোট করাতে সক্রিয় হয়েছে কমিশন। ভোটের দিন কোনওরকম গোলমাল বরদাস্ত করা হবে না বলে কমিশন জানিয়েছে। সূত্রের খবর, এ দিন ভিডিয়ো বৈঠকে পঞ্চম দফার ভোট যে জেলাগুলিতে হবে, সেগুলির প্রশাসনিক কর্তাদের জরুরি নির্দেশ দেয় কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, বহিরাগতদের রুখতে পারলেই অশান্তির আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে। প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কমিশন নির্দেশ দিয়ে বলেছে, শুধু দায়সারা তল্লাশি চালালে হবে না। জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের ব্যক্তিগত ভাবে তল্লাশিতে থাকতে হবে। তার পর সেই রিপোর্ট কমিশনে পাঠাতে হবে।’’
বুধবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ির তল্লাশিতে জেলাশাসক ছাড়াও অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসক সকলেই ছিলেন। প্রথমে ক্লাব রোডের একটি হোটেলে তল্লাশি চালায় প্রশাসনের দলটি। তার পর কদমতলার একটি অভিজাত হোটেলে তল্লাশি হয়। হোটেলে থাকা কয়েকজনের জবাবে প্রশাসন সন্তুষ্ট নয় বলে দাবি। তাঁদের ওপরে নজরদারির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, ‘‘কমিশনের নির্দেশ ছিল, ভোটপ্রচার শেষ হলে বহিরাগতরা থাকবেন না। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের নিজেদের তল্লাশি চালাতে হবে।’’