বর্ধমানের একটি সভায় অধীর রঞ্জন চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।
শীতলকুচির গুলি-কাণ্ডে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বিজেপি এবং তৃণমূলকেও একসঙ্গে কাঠগড়ায় তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এই ঘটনায় দুই দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে অধীরের দাবি, বিজেপি এবং তৃণমূলের মতো দুই দানবের সংঘর্ষে প্রতিদিন রক্তাক্ত হচ্ছে বাংলা। সেই সঙ্গে, এ রাজ্যের অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর ব্যাপারে কমিশন ব্যর্থ বলেও মনে করেন তিনি।
শনিবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা আসনে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আভিজিৎ ভট্টাচার্যের সমর্থনে জনসভা করেন অধীর। সেই সভা থেকে শীতলকুচির গুলি-কাণ্ড নিয়ে সরব হন তিনি। অধীর বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগেই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছিল এ রাজ্যের নির্বাচনে প্রয়োজনে গুলি চালাতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পর চতুর্থ দফার নির্বাচনে শীতলকুচিতে গুলি চালানের ঘটনা ঘটল।’’ নির্বাচন কমিশনের দিকে তোপ দেগে অধীরের দবি, ‘‘কমিশন মনে হয় বাংলার পরিস্থিতি এখনও বুঝতে পারেনি। যে ফোর্স দেওয়া হয়েছে, তা বাংলার নির্বাচনের পক্ষে যথেষ্ট নয়।’’
নীলবাড়ির লড়াইয়ের প্রথম দফা থেকেই রাজ্যে বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়েছে। তবে শনিবার সেই অশান্তিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে কোচবিহারের শীতলকুচির গুলি-কাণ্ড। শীতলকুচির জোড়পাটকি এলাকায় ১২৬ নম্বর বুথে সিআইএসএফ-এর গুলিতে একসঙ্গে ৪ জনের নিহত হন। এই ঘটনা ঘিরে দিনভর বিজেপি এবং তৃণমূলের চাপানউতর চলে। তবে চতুর্থ দফার ভোটে হিংসা, হানাহানির বাড়বাড়ন্তের জন্য তৃণমূল এবং বিজেপি— দু’দলকেই দায়ী করেন অধীর। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল এবং বিজেপি দুটোই দানব। দুই দানবের মধ্যে প্রতিদিন সংঘর্ষ হচ্ছে। বাংলা রক্তাক্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে গোটা বাংলায় ১৪ জন খুন হয়ে গেল। তাই বাংলার মানুষ বলছে তৃণমূল এবং বিজেপি এ বার খরচের খাতায় চলে যাবে। ইতিহাসের পাতায় থাকবে সংযুক্ত মোর্চা।’’