West Bengal Assembly Election 2021

Bengal Polls: বাজি যে-ই জিতুক, পাতে পাঁঠার মাংস

কোচবিহার জেলায় একক ভাবে কোন দল ক’টি আসন পেতে পারে, তা নিয়েই অনেকেই হাঁড়ি ভর্তি মিষ্টির বাজি ধরেছেন।

Advertisement

অরিন্দম সাহা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২১ ০৬:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোথাও ভরপেট রসগোল্লা, তো কোথাও বাজি আস্ত কচি পাঁঠা! রাত পোহালেই বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিন। ওই দিন কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় নানা দলের উৎসাহী সমর্থক থেকে বাসিন্দারা অনেকেই পেটপুজোর ব্যবস্থা সেরে রেখেছেন বাজি ধরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক ভাবে মতভেদ থাকলেও বাজি ধরায় মিলে গিয়েছেন এ দল, সে দলের কর্মীরা— যাঁদের প্রথম পরিচয় তাঁরা পরস্পরের বন্ধু। পরিচিত সম্পর্কের মধ্যেই বিধানসভার ফল নিয়ে এমন মজার বাজি ধরার প্রবণতা বেশি। বিধানসভা কেন্দ্রভিত্তিক জয়-পরাজয় থেকে জয়ের ব্যবধান কত হবে, বাজির তালিকায় বাকি নেই কিছুই।

Advertisement

কোচবিহার জেলায় একক ভাবে কোন দল ক’টি আসন পেতে পারে, তা নিয়েই অনেকেই হাঁড়ি ভর্তি মিষ্টির বাজি ধরেছেন। তবে গোটাটাই যে শুধু খাওয়াদাওয়ার উপরে থাকবে, হলফ করে তা-ও বলা যাচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে আর্থিক বাজিরও অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোচবিহারের বাণেশ্বর এলাকার এক যুবক বললেন, ‘‘কোচবিহার উত্তর কেন্দ্র নিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরেছি। তৃণমূল জিতলে সে বন্ধুদের কচি পাঁঠা খাওয়াবে। বিজেপি জিতলে সেই খরচটা আমি দেব।’’ আর মোর্চা যদি জেতে? উত্তর, ‘‘তবে তো বাজি-ই বানচাল!’’ দিনহাটার এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘কোচবিহার জেলায় একক ভাবে সব থেকে বেশি আসন কোন দল পাবে, তা নিয়ে আমার এক প্রতিবেশীর সঙ্গে বাজি ধরেছি। যার কথা ঠিক হবে, তাকে অন্যজন ভরপেট রসগোল্লা খাওয়াবে। একজন সাক্ষীও থাকছেন। তিনি অবশ্য দু’তরফে খাবেন। মানে, বাজি যিনি জিতুন, সাক্ষীর পেটপুজো বাঁধা!’’ বাজিগরেরা একই রকম ভাবে সক্রিয় দিনহাটা, শীতলখুচি, নাটাবাড়ি, কোচবিহার দক্ষিণের কেন্দ্রগুলি নিয়েও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement