ফাইল চিত্র।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের একাধিক সভা ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধল। সভাগুলিতে পাঁচশোর বেশি মানুষের জমায়েত হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার প্রচারের শেষ দিনে দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচটিতে পথসভা করেন দিলীপ। কিন্ত পথসভার নামে আদতে কিছু জায়গায় হাজার মানুষের ভিড় হয় বলে অভিযোগ। আদালত ও কমিশনের নির্দেশ অমান্য করে দিলীপের পর পর ওই সভার প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। এর বিরুদ্ধে তারা কমিশনে নালিশ করবেন বলে তৃণমূল নেতৃত্ব জানান। বিজেপি অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এ দিন সকালে হেলিকপ্টারে চেপে হিলিতে নামেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সভায় বালুরঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী অশোক লাহিড়ী, সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের পর ভাষণ দেন তিনি। ওই সভায় পাঁচশোর বেশি মানুষ গাদাগাদি করে ভিড় করে। অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না। দূরত্ববিধিও ছিল না বলে অভিযোগ। হিলি থেকে ফের হেলিকপ্টারে উঠে দিলীপ পরপর কুমারগঞ্জ, তপন, হরিরামপুর ও কুশমণ্ডি গিয়ে সভা করেন।
কোভিড পরিস্থিতির জন্য ২৪ ঘণ্টা আগেই উচ্চ আদালতের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন সভা, রোড-শো, মিছিল বাতিল করে। সুরক্ষাবিধি মেনে পাঁচশোর বেশি লোক নিয়ে সভা করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেয়। এ দিন দিলীপের সভাগুলিতে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়েছে মেনে নিয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রোড-শো বাতিল করে দিলীপদা পথসভা করেন। স্বাভাবিক ভাবে বাংলায় দিলীপদার প্রতি মানুষের উৎসাহ আছে বলে প্রচুর ভিড় হয়।’’ ভিড় আটকানোর দায়িত্ব ছিল প্রশাসনের, দাবি বাপির।
তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘এ দিন জেলায় দলের রাজ্য যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা বাতিল করা হয়। আদালতের নির্দেশে আমরা সমস্ত সভা, মিছিল বাতিল করেছি। কিন্তু দিলীপ ঘোষ অবিবেচকের মতো কাজ করেছেন। ওঁরা সংবিধান ও কোর্টের নির্দেশ মানেন না আবার প্রমাণিত হল।’’ বিজেপি সভাপতি বিনয় বর্মণের দাবি, ‘‘পাঁচশোর কম লোক নিয়ে দিলীপবাবুর প্রতিটি সভা হয়েছে। শেষবেলার প্রচার দেখে ঘাবড়ে গিয়ে তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’’