পুরুলিয়া-২ ব্লকের ভাঙড়ায় নবকুঞ্জ মাঠে নরেন্দ্র মোদীর জনসভার প্রস্তুতি। বুধবার। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো
গত ক’দিনে জঙ্গলমহলের একাধিক জেলায় দলের অনেক শীর্ষ নেতাই এসেছেন, সভা করেছেন। কিন্তু সে সব সভায় ‘প্রত্যাশিত’ ভিড় দেখা যাচ্ছে না, বলছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে আজ, বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার ভাঙড়ায় নবকুঞ্জের মাঠে নির্বাচনী সভা করতে আসছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে যাতে ভিড় কম না হয়, সে জন্য যারপরনাই ব্যস্ততা বুধবার চোখে পড়ল বিজেপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে। পুরুলিয়ার সভা প্রসঙ্গে আজ রাতে প্রধানমন্ত্রীর টুইট, ‘পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে, পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা জেগেছে। বিজেপি-র সুশাসনের কর্মসূচি জনগণের মধ্যে এক সুরেলা ধ্বনি তুলেছে।’ যদিও ‘সুরেলা ধ্বনি তুলেছে’, ভাষার এ হেন প্রকাশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এর পর ২০ মার্চ খড়গপুর, ২১ মার্চ বাঁকুড়া, ২৪ মার্চ কাঁথিতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবারই পুরুলিয়ার বলরামপুরে যোগী আদিত্যনাথের সভাস্থলের অর্ধেক ফাঁকা ছিল। তবে দলের রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় তা না মেনে এ দিন দাবি করেন, ‘‘ভরদুপুরেও আমাদের সভায় ভিড় হচ্ছে। মোদীজিকে দেখতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসবেন।’’ মঙ্গলবার তিনি ভাঙড়ায় গিয়েছিলেন। এ দিন সভাস্থল ঘুরে দলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী দাবি করেন, ‘‘ভাঙড়ার মাঠে তিন লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে।” তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা মুখপাত্র নবেন্দু মাহালির কটাক্ষ, ‘‘বিজেপির ওই মাঠ নিয়ে ধারণাই নেই। ওই মাঠে সর্বোচ্চ এক লক্ষ লোকের জমায়েত করা সম্ভব।’’
দলীয় সূত্রের খবর, পুরুলিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলের জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তিনটি মাঠ পরিদর্শন করে, শেষে ভাঙড়ার ওই মাঠ চূড়ান্ত করেন। কারণ, ওই মাঠে কাশীপুর, পুরুলিয়া ও মানবাজার বিধানসভার কর্মীরা সহজে পৌঁছতে পারবেন। এ দিন সভাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বড় আকারে মঞ্চ বাঁধার কাজ চলছে। কর্মী-সমর্থকদের বসার জন্য তৈরি করা হচ্ছে তিনটি ‘হ্যাঙার’।
বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সভা শুরু হওয়ার কথা। তাঁর হেলিকপ্টার নামার জন্য সভাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে, হুটমুড়া হাইস্কুলের মাঠে তৈরি করা হয়েছে হেলিপ্যাড। সোমবারই প্রধানমন্ত্রীর জন্য় চারটি বিশেষ গাড়ি পৌঁছেছে পুরুলিয়ায়। সূত্রের খবর, সভা ও আশপাশে থাকবে হাজার দু’য়েক পুলিশ। এ দিন সভাস্থল পরিদর্শন করেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো।